মালয়েশিয়ায় জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরি অভিযোগে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। সোমবার (২০ নভেম্বর) একটি বিশেষ অভিযানে এই তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১নভেম্বর) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতো’ রুসলিন বিন জুসোহ, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের প্রেস কনফারেন্সে জানান ‘অপস ভিস্তা মুতিয়ারা’ নামে পরিচিত একটি বিশেষ অপারেশনে বাংলাদেশি নাগরিক দ্বারা পরিচালিত একটি পাসপোর্ট জালিয়াতি সিন্ডিকেট কে আটক করেছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬.৩০ মিনিটে শুরু হওয়া এই অভিযানে মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা ও বিশেষ অপারেশন বিভাগ, ইমিগ্রেশন সদর দফতর পুত্রজায়া থেকে বিভিন্ন পদের ইমিগ্রেশন অফিসারদের একটি দল এর সাথে অভিযানে অংশগ্রহণ করে।
এ সময় মহাপরিচালক আরো বলেন, স্থানীয় নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং জিআইএম-এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয় যা দুই সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা বিভাগের একটি টিম নজরদারি করে।
গ্রেফতার বাংলাদেশিদের শুধুমাত্র একজনের কাছে বৈধ অস্থায়ী কাজের ভিজিট পাস (পিএলকেএস) রয়েছে এবং অন্যজনের কাছে কোনো বৈধ নথি নেই।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে মোট ৬১ কপি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ৪৩ কপি ইন্দোনেশিয়ান পাসপোর্ট এবং ১ কপি মিয়ানমারের পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয় যা জাল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের মোট ২২১ টি পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এরপরে, দলটি জালান কেপং-এ চলে যায় এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির মূল মাস্টারমাইন্ড, ‘শিমুল’ নামে পরিচিত জাল পাসপোর্টের নির্মাতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একজন ৩৩ বছর বয়সী বাংলাদেশিকে আটক করে। যার পিএলকেএস রয়েছে যার বৈধ মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
এই সিন্ডিকেটের কাজ হল বাংলাদেশ, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের মতো বিদেশিদের টার্গেট করা যাদের বৈধ ভিসা ও পাসপোর্ট নেই। সিন্ডিকেট দলটি যাদের সমস্যা আছে তাদের খুঁজে বের করে তাদের কাছে গিয়ে সিন্ডিকেট দ্বারা প্রদত্ত পরিসেবাগুলি অফার করবে।
ধারণা করা হচ্ছে এই সিন্ডিকেটটি এক বছর ধরে কাজ করছে এবং পাসপোর্টের একটি কপির জন্য প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা চার্জ করে।
সিন্ডিকেট গ্রাহকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে দিনে পাঁচ থেকে ১০ কপি জাল পাসপোর্ট তৈরি করতে সক্ষম বলে মনে করা হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত সকলকে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে অপরাধ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এবং আরও তদন্তের জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে আটক করে রাখা হয়েছে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]