
গত দেড় মাস ধরে চলা যুদ্ধে এই প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।
সোমবার ইসরায়েলভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মূলত হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতেই ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠী এই সমঝোতায় আসতে আগ্রহী।
চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যদি তার হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও ছেড়ে দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটির সরকার। এখন অপেক্ষা কেবল হামাসের জবাবের।
জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারটি ইসরায়েল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে দাবি করে নিজেদের প্রতিবেদনে কান জানিয়েছে, ‘বল এখন হামাসের কোর্টে। হামাস যদি ইতিবাচক সাড়া দেয়, সেক্ষেত্রে সহজেই একটি সমঝোতা হতে পারে।’
এর আগে একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকেও এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানিয়েছিলেন, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
‘দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার একটি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা আশা করছি এটি হবে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে,’ হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন কিরবি।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।
যুদ্ধের শুরুর দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। তবে পরে হামাস ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন জিম্মি।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]