গাজার সবচেয়ে বড় দুই হাসপাতাল আল-শিফা ও আল-কুদস জানিয়েছে, নতুন করে আর কোনো রোগী ভর্তি হতে পারছে না, কার্যক্রম বন্ধ করতে তারা বাধ্য হয়েছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জ্বালানি সংকটের কারণে রোববার হাসপাতাল দুটির সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। বন্ধ করা হয় সব ধরনের অপারেশন।
দুটি বড় হাসপাতাল বন্ধ হয়ে পড়ায় গাজায় মৃত্যু বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংকট এড়াতে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইসরায়েলের নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলার মধ্যে হাসপাতালগুলোতে ওষুধ ও জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া অন্য এক হাসপাতালের কার্যক্রমও বন্ধ হয়েছে।
উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ হিসেবে জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা জানান কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক আহমেদ আল-কাহলৌত।
বিদ্যুৎ না থাকায় আল-শিফা হাসপাতালের নবজাত শিশুদের ইনকিউবেটর থেকে বের করে বিছানার ওপর রাখা হয়েছে। ফলে হাসপাতালের ৩৬ শিশুর জীবন এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।
আল-শিফা হাসপাতালের নিউরোসার্জন ড. নিদাল আবু হাদ্রৌস জানান, হাসপাতালে কোনো বিদ্যুৎ বা পানি নেই এবং এখান থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। যার ফলে রোগী ও কর্মীরা ‘বিপর্যয়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতি বেশি সময় ধরে চলা উচিত নয়। হাসপাতালের কর্মী ও রোগীদের বাঁচাতে জরুরি উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়াসুস জানান, আল-শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ ও বিপজ্জনক’। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে বলেন, হাসপাতাল সবার জন্য নিরাপদ আশ্রয় হওয়ার কথা। যখন এগুলো মৃত্যু, ধ্বংসযজ্ঞ ও হতাশার প্রতীকে রূপান্তরিত হয়, তখন বিশ্ববাসী চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। আল-শিফা হাসপাতাল হিসেবে কার্যকর রয়েছে, এমনটা আর বলা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে গাজার যুদ্ধে নিহত ১০১ সহকর্মীর জন্য শোক পালন করেছে জাতিসংঘ। নিহতদের সম্মান জানাতে এশিয়াজুড়ে জাতিসংঘের কম্পাউন্ডগুলোতে নীল এবং সাদা জাতিসংঘের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা ও বিবিসি
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]