ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত একমাসে চলমান যুদ্ধে ভূগর্ভস্থ অন্তত ১৩০টি সুড়ঙ্গ (টানেল) ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, গতকাল (৮ নভেম্বর) বুধবার একটি টেলিগ্রাম পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী হামাসের ১৩০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করার দাবি জানিয়েছে। তারা জানায়, সবগুলো সুড়ঙ্গই হামাসের যোদ্ধারা ব্যবহার করতেন। হামাসের ব্যবহার করা সুড়ঙ্গ শনাক্ত, উন্মুক্ত ও ধ্বংস করার কাজ অব্যাহত আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের সামরিক প্রকৌশলীরা গাজায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৭ সাল থেকে উপত্যকাটির শাসকগোষ্ঠী হামাস যোদ্ধাদের ব্যবহৃত সুড়ঙ্গগুলো শনাক্ত, উন্মুক্ত ও ধ্বংস করেছেন ইসরায়েলি সেনারা।
হামাসকে গাজা থেকে পুরোপুরি উচ্ছেদের ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেইত হানোউন এলাকায় কয়েকটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হয়েছে। এসব সুড়ঙ্গ স্থানীয় বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনার কাছাকাছি খোঁড়া হয়েছিল।
গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে পণ্য ও ব্যক্তির প্রবেশ করতে কিংবা সেখান থেকে বের হতে ইসরায়েলের অনুমতি দরকার হয়। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় গোপনে পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে হামাস যোদ্ধারা এসব সুড়ঙ্গের উপর নির্ভর করে। সেই সঙ্গে সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়েই ইসরায়েলি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এ ছাড়া অতর্কিত হামলাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ব্যবহৃত হয় এসব সুড়ঙ্গ।
স্থল অভিযান শুরুর পর এবার হামাস যোদ্ধাদের ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে হামলায় সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। গতকাল বুধবার (৮ নভেম্বর) ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল বলছে এ হামলা তাদের জন্য বিশেষ এক সাফল্য।
ইসরায়েলের হামলার পর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কেউ প্রবেশ করতে বা বের হতে ইসরায়েলের অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় গোপনে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য এসব সুড়ঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও হামাস তাদের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনা এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সুড়ঙ্গগুলো ব্যবহার করে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]