
সরকারি কর্মকর্ত কর্মচারীদের চাকরি করার ক্ষেত্রে মানতে হয় নানা নিয়ম। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ নিয়মই হয় কাজ-সংক্রান্ত। তবে এবার ভিন্ন রকম এক নির্দেশনা দিয়ে তাদের বলা হয়েছে, দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে হলেও নিতে হবে সরকারের অনুমতি। আর তা না মানলে হবে বড় শাস্তি।
সম্প্রতি সরকারি কর্মচারীদের জন্য এমন বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ভারতের আসাম সরকার। নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যের কোনো সরকারি কর্মী সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আসাম সরকারের মুখ্য সচিব নীরাজ ভার্মা গেল ২০ অক্টোবর এই নির্দেশনা দিয়েছেন। আর বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) তা প্রকাশ্যে আসে।
যদি কোনো সরকারি কর্মচারী নিয়ম ভঙ্গ করে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন, তবে তার বিরুদ্ধে ‘শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগ এনে বাধ্যতামূলক অবসর নিতে বলা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
নীরাজ ভার্মা তার ওই নির্দেশে জানিয়েছেন, আসাম সিভিল সার্ভিস কন্ডাক্ট রুলস ১৯৬৫ অনুসারে যার একজন স্ত্রী রয়েছে, তিনি সরকারের কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, যে সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে একজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়, তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম কার্যকর থাকবে।
এছাড়া নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সরকারি কোনো নারী কর্মী এমন কাউকে বিয়ে করতে পারবেন না, যার অপর একজন স্ত্রী রয়েছে ও যিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেননি।
যদিও আসামের একাধিক আইনজীবীর দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। এই নিয়ম আসামে আগে থেকেই ছিল। কারণ সরকারি কর্মীদের চাকরিতে যোগদান করার আগে এ নিয়ে হলফনামা জমা দিতে হয়।
ধর্মেন্দ্র দেব নামে এক সিনিয়র আইনজীবী হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে হিন্দুরা দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। আর অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ‘পার্সোনাল ল’-এর ব্যাপার। এক্ষেত্রে এ ধরনের বিয়ে আটকাতে গেলে রাজ্য সরকারকে ‘পার্সোনাল ল’ সংশোধন করতে হবে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]