ইউক্রেনের চার প্রদেশ দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জয়া ও খেরসনের বাসিন্দারা মস্কোর সঙ্গেই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার এক ভিডিওবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সেই অভিযানের ৬ মাসের মধ্যে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া, খেরসন— এই চার প্রদেশের দখল নিতে সক্ষম হয় রুশ বাহিনী। পরে ওই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর সাংবিধানিকভাবে ওই চারটি প্রদেশকে নিজ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে রাশিয়া। শুক্রবার তার বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পুতিনের ভিডিওবার্তাটি প্রকাশ করেছে রাশিয়ার সরকার।
দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসনে সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে ইউক্রেনপন্থী ও মস্কোপন্থী— উভয় মতের সমর্থক প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন এবং জয়ী হয়েছেন মস্কোপন্থী প্রার্থীরা।
শুক্রবারের ভিডিওবার্তায় সাম্প্রতিক সেই নির্বচানের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়ে পুতিন বলেন, ‘মাত্র এক বছর আগে এই দিনে ঐতিহাসিক গণভোটের মাধ্যমে রুশ ভূখণ্ডে যুক্ত হওয়া দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসনের বাসিন্দারা আরও একবার সেইসব প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন— যারা নিজেদের শ্রম ও যোগ্যতার মাধ্যমে এই চার প্রদেশের জনগণের বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।’
পশ্চিমা বিশ্ব অবশ্য এখন পর্যন্ত এই চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। আর এই চার অঞ্চলের দখল ফিরে পেতে রুশ বাহিনীর ওপর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী, যা ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে কাউন্টার অফেন্সিভ হিসেবে।
তবে গত জুন থেকে কাউন্টার অফেন্সিভ কৌশল প্রয়োগ করেও তেমন সুবিধা করতে পারছে না ইউক্রেন।
সূত্র: রয়টার্স
বিবার্তা/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]