
ব্যারি নামে পরিচিত একটি ‘ক্যাম্পটোসরাস’ ডাইনোসরের কঙ্কাল আগামী মাসে প্যারিসে বিক্রির জন্য নিলামে উঠছে। এই কঙ্কালের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি প্রায় অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
আজ থেকে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন বছর আগে জুরাসিক যুগের শেষদিকে পৃথিবীতে বিচরণ করতো ক্যাম্পটোসরাস জাতের ডাইনোসর।
নব্বইয়ের দশকে ইয়োমিংয়ে এটিকে প্রথম খুঁজে পাওয়া যায়। ২০০০ সালে প্রত্নতত্ত্ববিদ ব্যারি জেমস একে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করেন। তখন তার নামেই এই জীবাশ্ম বা কঙ্কালের নাম দেওয়া হয় ‘ব্যারি।’
জীবাশ্ম ব্যারিকে গত বছর ইতালিয়ান গবেষণাগার ‘জোইক’ এ নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রক্রিয়াজাতকরণের অংশ হিসেবে আরও কিছু কাজ করা হয়৷ কঙ্কালটি উচ্চতায় ২.১ মিটার ও দৈর্ঘ্যে ৫ মিটার।
প্যারিসের একাধারে নিলাম প্রতিষ্ঠান ও হোটেল ড্রোউটের কর্মকর্তা আলেকজান্দ্রে জিকেলো বলেন, ‘এটি খুবই ভালোভাবে সংরক্ষিত একটি জীব-নমুনা। সচরাচর এরকম (ভালোভাবে সংরক্ষিত কঙ্কাল) দেখা যায় না। এর খুলিটির কথাই ধরা যাক। খুলিটি শতকরা ৯০ ভাগ অক্ষত রয়েছে৷ ডাইনোসরটির কঙ্কালের অন্যান্য অংশেরও অন্তত ৮০ ভাগ ঠিকঠাক রয়েছে।’
এই হোটেলেই নিলামের মাধ্যমে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে ব্যারিকে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে বিক্রির জন্য ডাইনোসরের কঙ্কাল খুবই দুর্লভ। সারা বিশ্বে বছরে দুটির বেশি ডাইনোসরের কঙ্কাল বিক্রি হতে দেখা যায় না।’
এই কঙ্কালটিকে জনসমক্ষে তার পূর্ণাঙ্গ আকারে প্রদর্শন করা হবে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই প্রদর্শনী শুরু হবে। এরপর অক্টোবরের ২০ তারিখে এটি বিক্রির জন্য নিলামে উঠবে।
বিক্রয় প্রতিষ্ঠান হোটেল ‘ড্রোউট’ এর প্রত্যাশা এই কঙ্কালের দাম নিলামে অন্তত ১২ লাখ ৮০ হাজার ডলার উঠবে।
গত এপ্রিলে প্রথমবারের মতো ইউরোপে নিলামের মাধ্যমে একটি ‘টাইরানোসরাস’কে বিক্রি করা হয়েছিল।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনোসর বিশারদ অধ্যাপক স্টিভ ব্রুসেট অবশ্য (বিবিসিকে দেওয়া) এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে তার আশংকা জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈজ্ঞানিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কঙ্কালগুলো ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় জায়গা করে নিচ্ছে। ফলে এদের নিয়ে গবেষণার সুযোগ কমে যাচ্ছে।’ তথ্যসূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]