'বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বিপর্যস্ত অবস্থায় চলে এসেছে'
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩, ০০:২৬
'বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বিপর্যস্ত অবস্থায় চলে এসেছে'
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস তীব্র সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেছেন, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা বিপর্যস্ত অবস্থায় চলে এসেছে। ‘ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন’ (গ্লোবাল ওয়ার্মিং) স্তর পেরিয়ে তাপদাহের মাত্রা এখন ‘ফুটন্ত’ বা বয়েলিং স্তরে চলে এসেছে। ক্রমবর্ধমান উষ্ণতা বা ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ বিপর্যয়ের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে হয়ে গেছে ‘গ্লোবাল বয়েলিং’। এক কথায়, গরম পানির মতো ফুটছে গোটা বিশ্ব। উষ্ণায়ন উতরে শুরু হয়েছে ফুটন্ত যুগ।


স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিশ্বসংস্থাটির সদরদপ্তরে দেয়া বক্তব্য বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের অসহনীয় প্রভাব নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন গুতেরেস। তিনি বলেন, এই জুলাই মাসে গোটা বিশ্বে রেকর্ড-বিধ্বংসী তাপমাত্রা দেখা গেছে পর পর তিন দিন। তিন সপ্তাহ ছিল ভয়ংকর তাপদাহের রেকর্ড। সেই সঙ্গে সমুদ্রে ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তাতে এ কথা স্পষ্ট যে পৃথিবী উষ্ণতার পর্যায় থেকে ফুটন্ত যুগে চলে গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে গালফ নিউজ।


তিনি সতর্ক করে বলেন, উত্তর গোলার্ধ জুড়ে যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে, সেটি রীতিমতো ‘নিষ্ঠুর’। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘গোটা গ্রহের জন্যই এটি একটি বিপর্যয়।’


জাতিসংঘ প্রধান সতর্ক করে বলেন যে, আগামী যে দিনগুলো আসতে চলেছে, তাতে এত বছরের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে। তার কথায়, ‘এতটাই জলবায়ুর পরিবর্তন। ভয়ঙ্কর। এটি সবেমাত্র শুরু। বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগ শেষ হয়েছে, বিশ্ব ফুটন্ত যুগে এসেছে।’


অ্যান্তনিও গুতেরেস মনে করিয়ে দেন যে, জলবায়ু পরিবর্তনের এই চরম প্রভাবগুলো নিয়ে বিজ্ঞানীরা আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং সতর্ক করেছিলেন। তাদের সব কথা মিলে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যে গতিতে এই পরিবর্তন হচ্ছে, তা বিস্ময়কর। পৃথিবীর আগামী পরিণতি ‘দুঃখজনক’। তিনি জ্বালানি নিয়েও নতুন করে ভাবনাচিন্তার কথা বলেন। তার সতর্কবার্তার পর সারা বিশ্বে ‘গ্লোবাল বয়েলিং’ শব্দটি নতুন মাত্রা পেয়েছে।


প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই নাসা জানিয়েছিল, গত ১০০ বছরের তথ্য বলছে, এর আগে কখনও এতটা উষ্ণায়ন দেখা যায়নি ধরিত্রীতে। জুলাই মাসটাও এতটা গরম হয়ে ওঠেনি এর আগে কোনও দিন। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, শরীর পুড়িয়ে ফেলার মতো গরম জুলাই মাসের জন্য দায়ী ইউরোপে একের পর এক রেকর্ড ভাঙা তাপপ্রবাহ, গোটা সুমেরু ও ইউরেশিয়ার তাপমাত্রা বৃদ্ধি আর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে প্রায় একই কথা জানিয়েছিল ইউরোপের ‘কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস’।


বিবার্তা/এসএ


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com