অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হয়েছেন এক মার্কিন সেনা। মঙ্গলবার জাতিসংঘের একটি সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আটক হওয়া ওই ব্যক্তির কোনো বৈধ কাগজপত্র ছিল না। আমরা ধারণা করছি তিনি এখন উত্তর কোরিয়ায় আটক অবস্থায় আছেন। তার মুক্তির জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। খবর বিবিসির।
জাতিসংঘ আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওই নাগরিক বিনা অনুমতিতেই আন্তঃসীমান্ত এলাকার পানমুনজম গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে ওই ব্যক্তি উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ কমান্ড।
ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ইলেক্ট্রিক কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা এই সীমান্ত দিয়ে কীভাবে ওই মার্কিন সেনা উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করলো তা স্পষ্ট নয়।
তবে এক প্রত্যক্ষদর্শী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস–কে বলেন, সেখানে যাওয়ার পর তারা আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা শুরু করেছেন। এমন সময় এক ব্যক্তিকে হো হো করে হাসতে হাসতে কয়েকটি ভবনের মাঝ খান দিয়ে দৌড়ে চলে যেতে দেখেন।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, শুরুতে আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তো তিনি (মার্কিন সেনা) সবার সঙ্গে কৌতুক করার উদ্দেশে করেছেন। কিন্ত যখন তিনি আর ফিরে এলেন না তখন বুঝতে পারলাম ওই ব্যক্তি মজার ছলে এ কাজ করেননি। এরপরে সবাই বিষয়টি বুঝতে পারলে পরিস্থিতি বদলে যায়।
সীমানা পেরিয়ে যাওয়া ওই মার্কিন সেনার সার্বিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলন করে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। সেখানে লয়েড অস্টিন বলেন, আমরা অনেক কিছুই জানি না। জানার চেষ্টা চলছে।
১৯৫০ সালে কোরিয়া যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৯৫৩ সালে কোরিয়াকে দুই ভাগ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। তবে এখনও দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। সে হিসেবে দুই দেশ এখনও যুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে। এখনও উত্তর কোরিয়ার কাছে ছয় দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক বন্দী রয়েছেন। এছাড়া প্রায়ই মার্কিন নাগরিকদের আটকের খবর পাওয়া যায়।
২০১৭ সালে নিয়ম ভঙ্গের কারণে বন্দী হওয়া এক মার্কিন ছাত্রকে মুক্তি দেয় উত্তর কোরিয়া। তবে মুক্তির পর ওই ছাত্রের মৃত্যু হলে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা যায়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকার সময় ২০১৮ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে আরও তিন মার্কিন নাগরিক মুক্তি পান।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]