যুগ যুগ ধরে ইসলামী ঐতিহ্য বিনির্মাণ ও সংরক্ষণে তুর্কি মুসলিমদের সুনাম বিশ্বজুড়ে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই তুর্কি নারীরাও। এমনকি আধুনিক যুগে এসেও তারা ইসলামের সেবায় পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তাদের নানারকম ধর্মীয় সেবামূলক কাজের খবর পাওয়া যায়। সম্প্রতি রুটি বিক্রির টাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তুর্কি নারীরা।
তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি প্রদেশ বুরসা। সেখানকার ওরহানলি এলাকার বাশকো গ্রামের নারীরা এই কীর্তি গড়েছেন। জানা গেছে, ওই গ্রামে একটি মসজিদ অনেক পুরোনো হয়ে যাওয়ায় সেটি বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে গ্রামবাসী নতুন করে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
গ্রামবাসীর এই উদ্যোগে একাত্মতা জানিয়ে এগিয়ে আসে সেখানকার রুটি বিক্রেতা নারীরাও। তারাও এই নির্মাণকাজে খরচ বহনের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে দেখা যায় তারাই এই নির্মাণকাজের সিংহভাগ অর্থ দিয়েছে। তাদের এই কাজ পুরো তুরস্কে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, রুটি বিক্রেতা নারীরা সপ্তাহের এক বা দুই দিনের লভ্যাংশ মসজিদ নির্মাণের জন্য আলাদা ফান্ডে রেখে দিত। এভাবে দুই বছর ধরে তারা টাকা জমাতে থাকেন। তাদের এ কাজে শরীক হতে অন্য নারীরা তাদেরকে আটা দিত। এভাবে দুই বছরে তাদের ফান্ডে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হয়। দেখা গেছে ১৫ লাখ তুর্কি লিরা বা এক লাখ ৮১ হাজার মার্কিন ডলার খরচের একটি বড় অংশই রুটি বিক্রেতা নারীদের অর্থ। পরে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওই মসজিদটি ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হয়।
উত্তর-পশ্চিম আনাতোলিয়ার মারমারা সাগর উপকূলে অবস্থিত তুরস্কের ঐতিহাসিক প্রদেশ এই বুরসা, যার প্রাদেশিক রাজধানীর নামও বুরসা। ১১ হাজার ৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ প্রদেশটির জনসংখ্যা সাড়ে ২৮ লাখের মতো। ১৩২৬ থেকে ১৩৬৫ সাল পর্যন্ত ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল বুরসা শহর। পরে তারা এডির্ন জয় করলে সেটিই তাদের নতুন রাজধানীর তকমা পায়। সেখানে রাজধানী ছিল ১৩৬৫ থেকে ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত। পরে রাজধানী সরিয়ে আনা হয় ইস্তাম্বুলে।
বিবার্তা/লিমন/নিলয়
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]