বছরের পর বছর ধরে ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের গোপন তৎপরতা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েল ইরানকে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে মনে করে। ইরানও ইসরায়েলকে বিবেচনা করে তাদের শত্রু হিসেবে যারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আছে। এছাড়াও ইরানের আঞ্চলিক শক্তি হয়ে ওঠার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে তারা একটি বড় বাধা হিসেবেই দেখে।
ঘটনাবলী নাটকীয় মোড় নেয় ২০২০ সালে যখন ইরানের নেতারা তাদের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু বিজ্ঞানী মহসিন ফখরিজাদেহর হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করতে শুরু করেন। রাজধানী তেহরানের বাইরে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইরানের অভিযোগ যে তাকে দূর-নিয়ন্ত্রিত মেশিন গান দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এবার ইরান আরেক কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ইরান বলছে, ইরানের পরমাণু স্থাপনা ও সেখানে কর্মরত বিজ্ঞানীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী থাকতে হবে।
দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি৫ মে, শুক্রবার এক টুইটে এ মন্তব্য করেন।
এর আগে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্র অর্জনের প্রচেষ্টাকে বাধা দিতে ইসরায়েল যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন এবং সে ধরনের পদক্ষেপ নিলে ইসরায়েলের পাশে থাকবে ওয়াশিংটন।
সুলিভানের ওই মন্তব্যের জবাবেই যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী থাকতে হবে বলে মন্তব্য করলেন শামখানি।
শামখানি টুইটে আরও লিখেছেন, ইরান পাল্টা যে ব্যবস্থা নেবে তার দায়ভারও ওয়াশিংটনকে বহন করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দাবি তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায়।
ইরানের দাবি, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত সাতজন ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। ইরানের বিভিন্ন পরমাণু স্থাপনার বিরুদ্ধে তেল আবিব বেশ কয়েকবার নাশকতামূলক তৎপরতা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ ইরানের।
এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসিও বলেছেন, ইসরায়েল হামলার মতো কোনো ভুল করে বসলে তেহরানের পাল্টা হামলার প্রথম মুহূর্তেই ইসরায়েল ধ্বংস হয়ে যাবে।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]