মুকেশ আম্বানির পরিচারকের সন্তানরা পড়াশুনা করেন আমেরিকার স্কুলে
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৩, ১২:০৭
মুকেশ আম্বানির পরিচারকের সন্তানরা পড়াশুনা করেন আমেরিকার স্কুলে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মুকেশ আম্বানির নাম হয়তো অনেকে জানেন। শুধু ভারতের নয় বরং পুরো বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের একজন। তার ভাই অনিল আম্বানিও ভারতের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। তাদের এই ধনী হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপ। আর এ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ধিরুভাই আম্বানি। তিনি আম্বানি ব্রাদারসের পিতা। বলতে গেলে একেবারেই শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন ধিরুভাই আম্বানি। ছিল না কোনো পুঁজি। সেই শূন্য পুঁজি থেকেই গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। বর্তমান এশিয়ার শীর্ষ ধনী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মুকেশ আম্বানি। এবং বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যাক্তিদের একজন তিনি।


মুকেশ আম্বানির স্ত্রী শাড়ি পরেন ৪০ লক্ষ টাকার। তিনি সংস্থার কর্মচারীকে উপহার দেন ১৫০০ কোটি টাকার বাড়ি। সন্তানদের বিয়েতেও হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেন। সম্প্রতি হলি এবং বলি পাড়াকে এক ছাতার তলায় এনে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু জানেন কি বাড়ির রাঁধুনিদের কত টাকা করে বেতন দেন ভারতীয় তথা বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের মুকেশ আম্বানি? অন্য সাধারণ বাড়ির তুলনায় আর কী কী বাড়তি সুবিধা পান আম্বানি পরিবারের পরিচারকেরা?


মুকেশ বিশ্বের সবচেয়ে ধনীদের মধ্যে অন্যতম। মুকেশ এবং তাঁর স্ত্রীর জীবনযাপন করার ধরন রাজাদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। অম্বানী পরিবার যে সব পাত্রে খানাপিনা করে, সেগুলির মূল্যও কোটি টাকার বেশি।


আর যাঁরা অম্বানী পরিবারের জন্য রান্না করেন তাঁদের বেতন শুনলে লজ্জা পাবেন যে কোনও বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী।


সংবাদমাধ্যম ‘ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি মাসে বেতন বাবদ ২ লক্ষ টাকা করে পান মুকেশ-নীতার রাঁধুনিরা।


অম্বানীরা নিরামিষাশী। মুকেশ তাঁর খাবার সম্পর্কে বিশেষ সচেতন। পছন্দ করেন থাইল্যান্ডের খাবার খেতেও। প্রতি রবিবার মুকেশের পাতে দক্ষিণ ভারতীয় পদ চাই-ই চাই বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।


অম্বানীদের রাঁধুনিরা যে সে রাঁধুনি নন। যে কোনও ধরনের রান্না করতে তাঁরা পারদর্শী। মনসম্পন্ন খাবার তৈরি করে দিতে পারেন নিমেষে। চাইনিজ-মোগলাই খানা তৈরি করা যেন তাঁদের কাছে নস্যি।


মুম্বইয়ে আম্বানিদের বিলাসবহুল বাড়ি অ্যান্টিলিয়ায় রাঁধুনিদের থাকার জন্য আলাদা ঘর রয়েছে। কেউ চাইলে বাড়িও ফিরে যেতে পারেন। তবে প্রধান রাঁধুনিকে নাকি থাকতে হয় অ্যান্টিলায়াতেই।


আম্বানি পরিবারের রন্ধনশিল্পীদের যাতায়াতের জন্যও আলাদা আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। একই রকম বন্দোবস্ত রয়েছে অ্যান্টিলিয়ার বাকি গৃহকর্মীদেরও।


বেতনের পাশাপাশি আরও অনেক সুবিধা পান আম্বানি পরিবারের কর্মীরা। এই কর্মীদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে বিমার সুবিধা। তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার খরচও জোগানো হয় অম্বানীদের মালিকানাধীন রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর তরফেই।


এমনকি, অম্বানী পরিবারের কর্মচারীদের সন্তানরা যাতে আমেরিকার স্কুলে পড়াশোনা করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও করা হয় রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর তরফে।


সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


বিবার্তা/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com