বিভেদ ভুলে সৌদি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৫৯
বিভেদ ভুলে সৌদি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে একটি চুক্তি সই করেছে সৌদি আরব ও ইরান। বেইজিংয়ে উভয় পক্ষের চুক্তি সইয়ে মধ্যস্থতা করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং।


মধ্যপ্রাচ্যের দুই বৈরী প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান ও সৌদি আরব চীনের মধ্যস্ততায় বৈরিতা কমানোর আভাস দিয়েছিল আগেই। গেল মাসে এক সমঝোতার পর ৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে বৈঠক করলেন দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ২০১৬ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর, এই বৈঠককে সম্পর্ক উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।


সৌদির আল-এখবারিয়া টিভি চ্যানেলে বৃহস্পতিবার একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও সম্প্রচার করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান চীনে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তবে বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।


গত মাসে, চীনে নিম্ন স্তরের আলোচনার সময়ও দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হয়।


সৌদি আরব এক শিয়া আলেমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর ২০১৬ সালে তেহরানে দেশটির দূতাবাসে হামলা হয়। যার জের ধরে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব।


সুন্নি নেতৃত্বাধীন সৌদি আরব এবং শিয়া নেতৃত্বাধীন ইরানের মধ্যে উত্তেজনা প্রায়শই বেশি ছিল।


মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে চাওয়া সৌদি ও ইরান একে অপরকে হুমকি শক্তি হিসাবে বিবেচনা করে। তারা লেবানন, সিরিয়া, ইরাক সহ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষকে সমর্থন করে - এবং সবচেয়ে স্পষ্টভাবে ইয়েমেনে।


ইরান শিয়া হুথি বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছে যারা ২০১৪ সালে সৌদি সমর্থিত সরকারকে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এর পর সৌদি আরব হুথিদের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী বিমান অভিযান নামে, যা এখনো চলছে। সৌদি আরবও ইরানের বিরুদ্ধে হুথিদের হামলায় সহায়তার অভিযোগ করেছে।


এর মধ্যেই ২০১৯ সালে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রধান সৌদি তেল স্থাপনায় হামলা চালায় ইয়েমেনি বাহিনী, যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সৌদি আরব এবং তার মার্কিন মিত্ররা হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে। তবে ইরান তা অস্বীকার করেছে।


এর পর গত কয়েক বছরে সম্পর্ক উন্নয়নে চেষ্টা চালায় ইরান। তবে পুনর্মিলনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে গত মাসে দুই দেশ বলেছিল যে তারা দুই মাসের মধ্যে দূতাবাস পুনরায় খুলবে। তারা আরো বলেন, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্কতার সঙ্গে এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে, যখন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চুক্তিতে মধ্যস্ততার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সূত্র: সিজিটিএন


বিবার্তা/মোবারক/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com