বিবিসির পাশে ব্রিটিশ সরকার
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৪
বিবিসির পাশে ব্রিটিশ সরকার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা রক্ষার পক্ষে ব্রিটিশ সরকার। ভারতে বিবিসির দুটি দপ্তরে আয়কর বিভাগের তল্লাশি ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুলেছে ব্রিটিশ সরকার। 


ঋষি সুনাক সরকার জানিয়ে দিল যে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ। তাদের পাশে আছে গোটা দেশ।  


ভারতে বিবিসির কার্যালয়ে আয়কর দফতরের ‘সমীক্ষা’ সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকারের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে বিবিসি সরকারের সমালোচনা করে। বিরোধীদের সমালোচনা করে বিবিসি। 


কিন্তু কখনও বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না। 


তবে ব্রিটিশ সরকারের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, বিবিসির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছে ভারতের আয়কর দফতর, সে বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে পারবে না।


চলতি মাসে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (বিবিসি) নয়াদিল্লি এবং মুম্বইয়ের কার্যালয়ে প্রায় ৬০ ঘণ্টা ‘সমীক্ষা’ চালায় আয়কর দফতর। সেই ‘সমীক্ষা’-র প্রেক্ষিতে ব্রিটেনের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়। সেই প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে বিবিসির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা নিয়ে আপাতত কোনও মন্তব্য করতে পারবে না সরকার। তবে ‘শক্তিশালী গণতন্ত্র’-র গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতার উপর জোর দেওয়া উচিত।


ফরেন, কমনওয়েলথ এবং ডেভলপমেন্ট অফিসের পার্লামেন্টারি আন্ডার-সেক্রেটারি ডেভিড রুটলে জানান, ভারতের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক আছে ব্রিটেনের। তার ফলে 'গঠনমূলকভাবে' বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা করা যেতে পারে। তিনি বলেন,  ‘আমরা বিবিসির পাশে আছি। আমরা বিবিসিকে অর্থ জোগান দিই। আমরা মনে করি যে বিবিসির বিশ্বব্যাপী পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই যে বিবিসির সম্পাকদীয় স্বাধীনতা থাকুক।’ 


রুটলে আরও বলেন, ‘ওরা (বিবিসি) আমাদের (সরকার) সমালোচনা করে।' ওরা (বিবিসি) (বিরোধী দল) লেবার পার্টির সমালোচনা করে। ওদের স্বাধীনতা আছে, যেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা বিশ্বাস করি। স্বাধীনতা হল মূল বিষয়। সেই বিষয়টি যাতে ভারতের সরকার-সহ বিশ্বব্যাপী আমাদের সব বন্ধুকে সেই গুরুত্ব জানাতে চাই।’


এমনিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্রের (যে তথ্যচিত্রের লিঙ্ক টুইটার, ইউটিউবকে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র) পর বিবিসির কার্যালয়ে আয়কর 'সমীক্ষা' নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। যদিও আয়কর দফতরের তরফে দাবি করা হয়, একাধিক ক্ষেত্রে কর দেওয়া হয়নি। আয়ের হিসাবও যথাযথভাবে প্রকাশ করেনি। কর সংক্রান্ত বিভিন্ন অসামঞ্জস্যের কথাও উল্লেখ করে আয়কর দফতর। তারইমধ্যে বিবিসির তরফে দাবি করা হয় যে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসহযোগিতা করা হয়েছে। 


সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com