ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর তার বিরুদ্ধে আনা যৌন হয়রানির অভিযোগের মুখে পদত্যাগ করেছেন।
এক সময়ের নামকরা সংবাদপত্র সম্পাদক আকবরের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু নারী সাংবাদিক যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। তিনি অবশ্য জোরালো গলায় সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমনকি একজন অভিযোগকারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলাও করেছেন।
কিন্তু প্রায় অপ্রত্যাশিতভাবেই তিনি বুধবার পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন। ভারতে যৌন নিগ্রহের বিরুদ্ধে মি-টু হ্যাশট্যাগে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার প্রথম বলি হলেন আকবর।
পদত্যাগের কারণ জানিয়ে বিবৃতিতে আকবর বলেছেন, যেহেতু বিচার চাইতে ব্যক্তিগত ক্ষমতায় আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি, তাই আমার বিরুদ্ধে ওঠা ভুয়ো অভিযোগের ব্যক্তিগত স্তরেই মোকাবেলার জন্য পদত্যাগ করা সঠিক বলে মনে করছি। তাই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। দেশসেবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আমাকে যে সুযোগ দিয়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ।
আকবরের ইস্তফার পরই তার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগকারী সাংবাদিক প্রিয়া রামানি টুইট করেন, নারী হিসেবে আমাদের অবস্থানই সত্য হল আকবরের ইস্তফায়। সে দিনের অপেক্ষায় আছি, যে দিন আদালত থেকেও বিচার পাব।
এদিকে মোদি সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে সরব হয় কংগ্রেসসহ বিরোধীরা। নৈতিকতার বিচারে আকবরের পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি তাদের।
কেবল বিরোধীরাই নয়, বিজেপির অন্দরেও আকবরকে নিয়ে মতান্তর তৈরি হয়েছে৷ প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও অনেকেই এই অভিযোগকে গুরুতর বলে মনে করছেন। যদিও দলীয় তরফে বিজেপি আগে জানিয়েছিল যে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত সেপ্টেম্বরে অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচারণের অভিযোগ তোলার পর থেকে দেশটিতে ‘#মি-টু’ আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা ও বিবিসি
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]