শিরোনাম
আসামে গৃহযুদ্ধ লেগে রক্তগঙ্গা বইতে পারে: মমতা
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০১৮, ১৫:২৯
আসামে গৃহযুদ্ধ লেগে রক্তগঙ্গা বইতে পারে: মমতা
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের তালিকা থেকে ৪০ লাখ নাগরিকের নাম বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে ভারত জুড়ে সুর চড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গত দুই দিন ধরেই এই ইস্যুতে বিজেপিকে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন তিনি।


মমতার অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বিজেপি সরকার এই কাজ করছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের নামে আসাম থেকে বাঙালি বিতাড়নের চেষ্টা চালাচ্ছে।


হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা এও বলেছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি তাদের সিদ্ধান্ত বদল না করে তবে গৃহযুদ্ধ লেগে রক্তগঙ্গার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।


কিন্তু প্রায় ১৩ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৫ সালের ৪ আগষ্টও ঠিক এভাবে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ভারতের রাজনীতি সরগরম করে তুলেছিলেন সেসময়ে তৃণমূলের একমাত্র সাংসদ মমতা। লোকসভায় সে সময় অনুপ্রবেশ ইস্যুকে ‘ভয়ানক’ বলেও আখ্যায়িত করেছিলেন।


বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেঠলি ১৩ বছর আগে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মমতার সেই অভিযোগের প্রসঙ্গটি স্মরণ করিয়ে দেন। ট্যুইট করে তিনি জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ভয়ানক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এটি রাজ্যের কাছে অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। আমার কাছে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশেরই ভোটার তালিকা রয়েছে। আমি জানতে চাই সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে কখন আলোচনা হবে?’


২০০৫ সালের ৪ আগষ্ট লোকসভার একটি ভিডিওতেই মমতার সেই প্রতিবাদের ছবি দেখা গেছে। যদিও সে সময় এই ইস্যুকে ‘গুরুতর’ বলে আখ্যায়িত করে মমতা লোকসভায় উত্থাপন করতে চাইলেও তৎকালীন স্পীকার ও সিপিআইএম নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়টি সেদিন লোকসভায় তোলার অনুমতি দেননি। আর এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে স্পীকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিলেন মমতা।


এমনকি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে চাপ বজায় রাখতে পরে স্পীকারের আসনে থাকা শিরোমনি আকালি দল নেতা চরণজিৎ সিং আটাওয়ালের আসনের দিকে গিয়ে তার উদ্যেশ্যে এক গোছা কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন। মমতার এই আচরণ দেখে সেদিন পুরো সংসদ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। পরে সকলকে অবাক করে দিয়ে নিজের পদত্যাগ পত্র দিয়ে আসন ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মমতা। যদিও প্রথামাফিক না হওয়ার কারণে মমতার সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়নি।


কিন্তু কেন্দ্রে ও রাজ্যে সরকার বদলের সাথে সাথে আজ নিজের অবস্থানও বদল করেছেন মমতা। তালিকায় বাদ পড়া সকলকে বাঙালি আখ্যায়িত করে তাদের বুকে টেনে নিতে চাইছেন তিনি। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তবে কি ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থেই মমতা এই কাজ করছেন?


কারণ ১৩ বছর আগেও মমতার অভিযোগ ছিল, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় অনেক বাংলাদেশির নাম রয়েছে আর ভোট ব্যাংকের স্বার্থেই রাজ্যের তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নীরব ছিল।


বিবার্তা/ডিডি/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com