উপহার বাক্সে বোমা পাঠিয়ে নবদম্পতিকে মেরে ফেলার চক্রান্তকারীর খোঁজ পেয়েছে ভারতের উড়িশ্যাপুলিশ। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রান্তকারীর নাম পুনজিলাল মেহের। পেশায় শিক্ষক। উড়িশ্যার স্থানীয় এক কলেজে ইংরেজী পড়ান। নিহত সফটওয়ার প্রকৌশলী সৌম্য শেখর সাহুর মায়ের সঙ্গে শিক্ষকতা করতেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারিতে বৌভাতের উপহার বাক্স খুলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিল সৌম্য শেখর সাহু নামে ২৬ বছর বয়সী এক সফটওয়ার প্রকৌশলী। তার স্ত্রী রীমা ওই বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়। বৌভাতের অনুষ্ঠানের পাঁচ দিন পর উপহারের প্যাকেট খুলতে গিয়ে এই বিস্ফোরণ হয়। সাহুর ৮৫ বছর বয়সী দাদী জেমামানি সাহু একই বিস্ফোরণে নিহত হয়।
এ ঘটনার পর পুলিশ ১০০ অধিক লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এদের মধ্যে থেকে পুলিশের কাছে সন্দেহভাজন হিসেবে উঠে এসেছে এক ইংরেজী শিক্ষকের নাম। তিনি পুনজিলাল মেহের। এই শিক্ষক নিহত সাহুর মায়ের কলেজে চাকরি করেন। তিনি সাহুর মায়ের কলেজে প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সাহুর মাকে সেই পদে বসানো হয়। আর এতে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে একাজ করে। পুনজিলাল ছিলেন সাহুর মায়ের থেকে জুনিয়ার শিক্ষক।
উড়িশ্যা পুলিশ আরকে শর্মা বলেন, পুনজিলাল মেহের একাই এই কাজ করেছেন। তিনি ইন্টারনেট থেকে বোমা তৈরির ম্যানুয়াল ডাউনলোড করেছেন। তারপর নিজেরা বাসায় বসে একাই বানিয়ে ফেলেন পার্সেল বোমা। তারপর তিনি ট্রেনে করে রাইপুর যান সেখান থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে উপহারটি পাঠান। পার্সেল বোমাটি ৪ জনের হাত বদল হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পাটনাগর সাহুদের বাড়ি পৌঁছে। যে কোম্পানির কুরিয়ার পার্সেল বোমাটি বহন করে তারা বলেছে এটি রায়পুর থেকে এসেছিল এসকে শর্মা নামের ব্যক্তির কাছ থেকে।
বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগে উপহার দেখে সৌম্য সরকার তার স্ত্রীকে বলেছিল এটি মনে হচ্ছে বিয়ের উপহার, রায়পুর থেকে এসেছে। কিন্তু রায়পুরে তার পরিচিত কেউ নেই। আর যিনি এটা পাঠিয়েছেন তাকে তিনি চেনেন না । এদিকে চক্রান্তকারী মেহেরকে জিজ্ঞাসাবাদের আগেই তার স্ত্রী ও তার কম্পিউটার চেক করে পুলিশ। সূত্র বিবিসি, দ্যা পাইনিয়র
বিবার্তা/সুমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]