ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন তার দুই সন্তান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
তিনি বলেন, অনেক বছর আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু আমি ও প্রিয়াঙ্কা আজ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল বলেন, আমরা বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছি। যে কারণই হোক, কোনো ধরণের হিংসা চাই না।
রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে প্রায় ২৭ বছর। সিঙ্গাপুরে শনিবার এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাহুল। বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এদিন রাজীব গান্ধীর মৃত্যু প্রসঙ্গটিও ওঠে।
বাবার মৃত্যু প্রসঙ্গে রাহুল আরো বলেন, আমরা জানতাম বাবাকে হত্যা করা হবেন। আমরা জানতাম আমার ঠাকুমাকে (ইন্দিরা গান্ধী) হত্যা করা হবে। রাজনীতিতে অন্যায় শক্তির সঙ্গে লড়াই করতে গেলে আপনাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। এটা স্পষ্ট। আঘাত হানবে ওই অদৃশ্য শক্তি।
তিনি আরো বলেন, আমার ঠাকুমা বলেছিলেন, আমাকে মেরে ফেলা হবে। আর বাবাকে আমি বলেছিলাম, তুমি মরতে চলেছ। আমরা খুব আঘাত পেয়েছিলাম। রেগেও গিয়েছিলাম। কিন্তু ওদের ক্ষমা করে দিয়েছি।
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুতে নির্বাচনী প্রচারের সময় রাজীব গান্ধীর উপরে আত্মঘাতী হামলা চালায় এলটিটিইর এক নারী কর্মী। সেই এলটিটিই প্রধান প্রভাকরণের মৃতদেহ দেখে শিউরে উঠেছিলেন রাহুল। তার কথায়, প্রভাকরণের মৃতদেহ টিভিতে দেখে আমার প্রথমেই মনে হয়েছে, কেন এই লোকটাকে অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে! ওর সন্তানদের কথা ভেবে খারাপ লেগেছিল।
১৯৮৪ সালের অক্টোবরে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে খুন হন ইন্দিরা গান্ধী। অথচ এক সময় ছোট রাহুল ও তার বোন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ব্যাডমিন্টনও খেলতো এই খুনিরা। সূত্র: জি নিউজ
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]