শিরোনাম
শেষ হলো ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:৩৮
শেষ হলো ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে রবিবার সকাল ৭টায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া, চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।


সকাল থেকেই ভোট গ্রহণকেন্দ্রগুলির বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায়। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটের শতকরা হার ৭৪ শতাংশ। নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরেও একাধিক ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।


দুই একটি জায়গা থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) বিকল হওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া ভোট ছিল মোটামুটি শান্তিপূর্ণ।


সকালে ভোট দিয়ে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বিপ্লব কুমার দেসহ অন্যরা।


রবিবার প্রথম দফায় ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০ টি আসনের মধ্যে ৫৯ টি আসনে নির্বাচন হয়। চড়িলাম (তফসিল উপজাতি সংরক্ষিত) কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী রমেন্দ্র নারায়ণ দেববর্মার মৃত্যুর কারণে ওই আসনটিতে ভোট নেয়া হবে আগামী ১২ মার্চ।


এবারে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৫,৭৩,৪১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩,০৫,৩৭৫ এবং নারী ভোটার ১২,৬৮,০২৭ জন, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ১১ জন। এবার নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৭,৮০৩ জন। মোট ৩১৭৪ টি বুথে ভোট গ্রহণ হয়।


এবারের নির্বাচনে বামফ্রন্ট, জাতীয় কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস, ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরাকে (আইপিএফটি) সহ একাধিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। তবে প্রধান লড়াইটা হয়েছে বামজোট ও বিজেপি’র মধ্যে ।


কারণ গত কয়েক বছরে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে এসেছে গেরুয়া শিবির (বিজেপি)।


২০১৪ লোকসভায় বিজেপি ৫.৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছে, তার আগে ২০১৩ সালে বিধানসভার নির্বাচনে মাত্র ১.৫ শতাংশ ভোট পায় তারা। ত্রিপুরার পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশে ইতিমধ্যেই সরকার গঠন করেছে বিজেপি।


ভোটারদের নিজের কাছে টানতে বামফ্রন্ট, বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দলের সভাপতি অমিত শাহ থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা যেমন মাটি কামড়ে ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারণা সেরেছেন, ঠিক তেমনি রাজ্যের চতুর্থ বারের বাম মুখ্যমন্ত্রী মুখ মানিক সরকারও ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছেন। দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীও।


এই নির্বাচনে ৩০৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য বাক্স বন্দি হয়েছে। হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, স্বাস্থ্য ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী বাদল চৌধুরী, উপজাতি কল্যাণ মন্ত্রী অঘোর দেববর্মা, শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহাসহ একাধিক মন্ত্রীর পাশাপাশি বিজেপি ও কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন নামী প্রার্থীরা।


ভোট গণনা আগামী ৩ মার্চ। ওইদিন মেঘালয় ও নাগাল্যান্ড বিধানসভার নির্বাচনেরও ফলাফল ঘোষিত হবে। তার আগে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ওই দুইটি রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


বিবার্তা/ডিডি/সুমন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com