শিরোনাম
ডিমে অ্যালার্জি হলে শিশুর পুষ্টি মেটাতে করণীয়
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১৬:১৩
ডিমে অ্যালার্জি হলে শিশুর পুষ্টি মেটাতে করণীয়
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

শিশুর সুস্থতা বজায় রাখতে বাবা মায়েরা সবসময় থাকেন ব্যস্ত। তার শরীর ঠিকমত পুষ্টি পাচ্ছে কিনা, তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে তাদের চিন্তার অন্ত নেই। কারণ অপুষ্ট শিশুর শারীরিক নানা সমস্যা লেগেই থাকে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।


স্বাস্থ্যর অবনতি খুব সহজেই দেখা দেয়। একই সঙ্গে শিশুর বুদ্ধির বিকাশ ব্যহত হয়। লেখাপড়ায় অমনোযোগী এবং শারীরিক বিকলঙ্গতা পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। তাই শিশুর সুন্দর স্বাস্থ্য ও অনাবিল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অবশ্যই করণীয় কিছু দিক মেনে চলতে হবে।


সাধারণত শিশুরা ডিম বা ডিম দিয়ে বানানো খাবার বেশি পছন্দ করে। পুষ্টি ও প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস হলো ডিম। কিন্তু কিছু কিছু শিশু আছে ডিম খেলে অ্যালার্জি এবং পেটের সমস্যায় পড়ে। এক্ষেত্রে অভিভাবকরা সন্তানের পুষ্টি নিয়ে মহা চিন্তায় থাকেন।


পুষ্টিবিদরা ছোটদের প্রতিদিনের ডায়েটে ডিম রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা একটি ডিম থেকে ৬০-৭০ ক্যালোরি শক্তি তো মেলেই পাশাপাশি প্রোটিনেরও একটি বিরাট ভাণ্ডার এই ডিম। ডিমের কুসুমে সব রকম খাদ্যোপাদানের ভারসাম্য থাকে বলে সুষম খাবারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে ডিম। এছাড়া প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজের অনেকটাই জোগান দিতে পারে একটি ডিম।


ডিমে যদি সমস্যা হয় তাহলে তো সন্তানের পুষ্টির অনেকটাই ঘাটতি থেকে যাচ্ছে! সে ক্ষেত্রে অনেক মা-বাবাই সিরিয়াল বা সাপ্লিমেন্ট প্রোটিন খাবারের স্মরণাপন্ন হয়ে থাকেন। তবে এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট বা বাজারচলতি প্রোটিন খুব একটা কাজের নয় বলেই মত পুষ্টিবিদদের। পুষ্টিবিদদের মতে ডিমের ঘাটতি মেটাতে হবে সারাদিনের অন্য খাবার দিয়েই।


এক্ষেত্রে কোন কোন খাবার হয়ে উঠতে পারে ডিমের বিকল্প। তা এবার বিস্তারিতভাবে জেনে নিই-


টক দই


প্রতিদিন শিশুর খাবারে রাখুন টক দই। লিভারে যেমন প্রোবায়োটিক উপাদানের জোগান বাড়বে তেমনি ডিম থেকে পাওয়া ক্যালসিয়ামের অনেকটাই পূরণ করতে পারে এই খাবার। দই-ভাত, সালাডে দই বা ওটসের সঙ্গে দই— শিশুর ডায়েটে রাখুন।


সয়াবিন


ডিম বন্ধ হলে সয়াবিন রাখুন খাবারের তালিকায়। প্রতিদিন ডিম থেকে যে পরিমাণ প্রোটিন মিলত সয়াবিনের মাধ্যমে সেটুকু যাবে সন্তানের পুষ্টিতে। উদ্ভিজ প্রোটিনের অন্যতম সেরা উৎস এই সয়াবিন। তবে সয়াবিন থেকে তৈরি হওয়া ফ্লেক্স বা অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবারের চেয়ে সয়াবিনের তরকারি, সয়াবিনের দুধ বা সালাড বানিয়ে দিন শিশুকে।


পনির


ডিম নেই এমন যে কোন বেকড খাবারে ছানা বা পনিরকেই ডিমের বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া যায়। ছানাকে ভালভাবে ব্লেন্ড করে নিন। অনেকটা ক্রিমের মতো থকথকে হয়ে উঠলে তা দিয়ে বানিয়ে দিন শিশুর মনের মতো ছানার তরকারি। এছাড়া পনিরের টুকরো বা ছানা ভাজা মিশিয়ে দিন সালাডে। ছানা ব্লেন্ড করে রুটির মধ্যে পুর আকারে ভরে টিফিনেও দিতে পারেন। তবে মাঝেসাঝে হালকা তেলে পনির-পরোটা বানিয়েও দিতে পারেন।


কলা


ছোট থেকেই শিশুকে কলা খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। একবারে অনেকটা খেতে না চাইলে নানাভাবে বারে বারে কলা রাখুন ডায়েটে। একটু টক দই ও গোলমরিচ ছড়িয়ে বানিয়ে দিন ফ্রুট সালাড। ডিমে সমস্যা হলে এর ঘাটতি পোষাতে প্রধান উপকরণ করুন কলাকে। এতে রয়েছে পটাশিয়ামের প্রাচুর্য। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও রক্ষা পাবে শিশু।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com