বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এ পর্যন্ত ৩৭২ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। যাদের অনেকেই ফিরে এসেছে স্বাভাবিক জীবনে। অনেক শিশুকে কথা শেখানোর মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট রিহেবিলিটেশন কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
কর্মশালার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাক-কান-গলা বিভাগের চেযারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, ভারতের ভাষা শেখানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বাহিসটাই জামশেদ ডাবু।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নাক-কান-গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাসিমা আখতার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়েছে।
তিনি বলেন, নতুন নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জটিল রোগের সফল চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারির মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর গড়ে ১০০ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে।
কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করাদের সত্যিকার অর্থেই পুনর্বাসন করতে বা পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে একটি ‘স্পিচ হিয়ারিং অ্যান্ড ব্যালেন্স সেন্টার বা ইনস্টিটিউট’ চালু করা প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]