বাম পাশের ছবিতে আমার সাথে যাকে দেখতে পাচ্ছেন তিনি আমাদের সুমিআপা। বাড়ি মাদারীপুর। পেশায় রিকশাচালক। ৭ বছর ধরে তিনি এ পেশায় আছেন।
কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করলাম-রিকশা চালাবার সময় ট্রাফিক পুলিশ বা আশপাশের মানুষজন বিরক্ত করে না? কোনো সময় আটকায়নি রিকশা?
উত্তর এলো-কাগজপাতি ঠিক আছে। ঠিকঠাক চালাই। কেউ কিছু কয় না। বিরক্ত করলে তো দেখতেনই।
পাশ দিয়ে আরেকটা রিকশা গেলো। রিকশাচালক শারীরিক প্রতিবন্ধী। সুমিআপা হাঁক দিলেন-ওই তুই শাহবাগ যা, আমি আইতাছি!
নেমে যাবার সময় ভাড়াটা অল্প বাড়িয়ে দিতেই দেখলাম মুখে অমূল্য হাসি।
পরের ছবির মানুষটি আমাদের কামরুন্নাহার আপা। পেশায়-রাজমিস্ত্রী। উনার বাড়ি শরীয়তপুরে। ইউল্যাবে বিল্ডিং মেরামতের কাজ করছেন পুরুষ সহকর্মীদের সাথে। কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই তিনিও। বললাম-আপনার কাজ করার সময়ের একটা ছবি নিতে চাই।
খুশি হয়ে বললেন-জী অবশ্যই!
সকাল সকাল এমন বাংলাদেশের দৃশ্য দেখতে কার না ভালো লাগে! কি বলবো ব্যাপারগুলোকে? ‘নারীর ক্ষমতায়ন’?
এমন নজির তবে আরো সামনে আসুক সেই কামনাই করি।
শাহজীদা নাজনীন সুরভীর ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]