শিরোনাম
ছাত্রলীগকে যেতে হবে মানুষের অন্তরে অন্তরে
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০৭
ছাত্রলীগকে যেতে হবে মানুষের অন্তরে অন্তরে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে ঘরে ঘরে নয়, মানুষের অন্তরে অন্তরে যেতে হবে ছাত্রলীগকে।


আস্থা-বিশ্বাস-ভরসার প্রবল সংকট, আর তা সংগত কারণেই! আমরা ছাত্রলীগ, নিকট অতীতে এমন কি জনসম্পৃক্ত মহান কাজ করেছি যে মানুষ আমাদের কথায় বিশ্বাস করে সিদ্ধান্ত নেবে, দৌঁড়ে গিয়ে চোখ বুজে নৌকায় ভোট দেবে। আগে ঘর, তবে পর! নিজের ঘর ভাঙাচোরা, নোংরা, অগোছালো রেখে মানুষের ঘরে ঘরে গেলে মানুষ বরং আরো বিরক্ত হবে, ঠাট্টা-বিদ্রুপ করবে! ষড়যন্ত্রকারীরাও সুযোগ পাবে অপপ্রচার চালানোর, গুজব ছড়ানোর।


সময় কম, জননেত্রী দেশরত্ন হাসিনার ছুড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ আমরা লুফে নিয়েছি দৃঢ় প্রত্যয়ে। এখন আমাদের কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হবে। নইলে নিন্দুকেরা 'চেয়ার ধরে রাখতে প্রলাপ বকছে' বলে হেসে বলবে, ধুর, যেই লাউ, সেই কদুই! আমরা সে সুযোগ দিতেও চাই না!


ঘরে ঘরে গিয়ে লাভ নাই, মানুষের মনে স্থান করে নিতে হবে আগে। ২০১৩ সালের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ইলেকশন এর কথা মনে আছে? আমরা ছাত্রলীগ কিন্তু টিম করে ঠিকই মানুষের ঘরে ঘরে গিয়েছিলাম! নৌকার ঝুলিতে ভোট কি আনতে পেরেছিলাম? চতুর্মাত্রিক ষড়যন্ত্র আর আস্তিক-নাস্তিক গুজবে উল্টো মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে!


সামনে আবার জাতীয় নির্বাচন, কঠিন সময়। কতজন সেই কঠিন সময় ফেস করার আদর্শিক সাহস ও মানসিক সামর্থ্য রাখে বিগত ৫ জানুয়ারির সৌজন্যে তা বেশ জানা আছে! তাই আগে নিজেদের সংশোধন করতে হবে।


কেন্দ্র সহ দেশের ছোট-বড় প্রতিটি ইউনিটে বৈধ কমিটি দ্বারা পরিশ্রমী ও যোগ্যদের দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে সংগঠন গুছিয়ে নিতে হবে সবার আগে। নিজেদের মাঝে গুণগত পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরী। হাসিমুখে সুন্দর ব্যবহার, যে কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ, সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার, নিয়মিত জনহিতকর ও মানবিক কর্মে মানুষের মনে শ্রদ্ধা-ভালোবাসার স্থায়ী আসন গেড়ে নেয়া, তবেই মানুষ ভালোবাসবে, কথা শুনবে, বিশ্বাস করবে, মানবে।


নিজ দলের লাখো বঞ্চিত নেতা-কর্মীর সংগত অভিমান ভাঙানোর উদ্যোগ নেয়া জরুরী, দুঃসময়ের যে কর্মীরা 'ব্যক্তিস্বার্থ পুজারী' দ্বারা নিগৃহীত হয়ে, কষ্ট পেয়ে একবুক অভিমান নিয়ে দূরে সরে গেছে, তাদের প্রাপ্য মূল্যায়ন করে আবার কাছে টানতে হবে। সবাইকে এক সুরে শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি সুরে সাম্য-ঐক্যের গান গাইতে হবে।


ইতিবাচকতার ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে বদলে যাবার প্রচেষ্টা থাকতে হবে প্রতিটি নেতা-কর্মীদের কথায়, আচরণে, কর্মে। শুরু হোক আজ এই মুহুর্ত থেকেই... সাধারণ শিক্ষার্থী ও গণমানুষের কাছে যেন 'পজেটিভ চেঞ্জ'র এই বার্তাটা পৌঁছে যায়।


ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়, এই মানসিকতা স্বীয় অন্তরে ধারণ করুন। সংগঠন এর হাজারো নেতা-কর্মীর দুঃখ, কষ্ট, অভিমান, বঞ্চনা, অপ্রাপ্তির কথা শুনে, তা অনুভব করে, সাধ্যমতো সমাধান এর চেষ্টা করতে হবে। মাঠে ঘাম ঝরানো তৃণমূল কর্মীদের পালস বুঝতে হবে। দলের ভিতরে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিতে এবং সংগঠনকে কলুষিত করতে ঢোকা অনুপ্রবেশকারী ছাত্রদল-শিবির সব ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে সেখানে যোগ্যদের রিপ্লেস করা এখন সময়ের সেরা দাবি!


যারা অতীতে ছাত্রলীগের জন্য সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়েছে, সংগঠনের জন্য আক্রান্ত হয়েছে তাদের খোঁজ-খবর নিতে হবে, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও বেটার লাইফ নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিতে হবে। দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক-শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাবেকদের নিয়মিত চাঁদা ও দানের ভিত্তিতে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে নিজস্ব তহবিল গঠন করতে হবে। সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ফান্ড করতে হবে, সংগঠন এর নিজস্ব নিউজ পোর্টাল, আইটি সেল, মিডিয়া সেল গড়ে তুলতে হবে। ইনশাআল্লাহ, সংগঠনে সকল নেতা-কর্মীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও কর্মপরিধি নিশ্চিত করে কুক্ষিগত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ শুরু হবে শেখ হাসিনার ছাত্রলীগের হাতেই।


ইনশাআল্লাহ, আওয়ামী লীগকে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আনতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত, শেখ হাসিনার লাখো ভ্যানগার্ডকে পাশে পাবো গুণগত পরিবর্তন আর ইতিবাচকতার জয়গানে সুরে সুর মেলাতে। আমাদের মাঝে ভালো কিছু করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে সাধারণ মানুষও ঠিক কথা শুনবে, হাসি মুখে ভোট দেবে শেখ হাসিনার নৌকায়।


গোলাম রাব্বানীর ফেসবুক থেকে


বিবার্তা/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com