শিরোনাম
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ‘বাংলাদেশী' !
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০১
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ‘বাংলাদেশী' !
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী মুসলমান ও হিন্দুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়াকে মোদি সরকার বলছে ‘'বাংলাদেশী তাড়ানো''। গতকালও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বুক চাপড়ে একে ''ইতিহাসের অন্যতম সাহসী পদক্ষেপ’' বলে ''কৃতিত্ব'' দাবি করলেন। কিন্তু এরূপ উগ্র ‘সাহস’ দেখাতে যেয়ে দেশটির সরকার তালগোল পাকিয়ে ফেলছে।


আজকেই খবর বের হলো, আসামে নাগরিকত্বের তথ্যপুঞ্জি (এনআরসি) থেকে বাদ দেয়া হয়েছে খোদ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দীন আলি আমেদ'র পরিবারের সদস্যদের।


ফখরুদ্দীন সাহেব ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি। ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত তিনি দেশটির সর্বোচ্চ ওই পদে ছিলেন। তাঁর ভাতিজা জিয়াউদ্দিন তাঁদের নাগরিকত্বহীন করার খবরটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জিয়াউদ্দিন হলেন ফখরুদ্দীন সাহেবের ভাই একারমুদ্দিন আলীর পুত্র।


স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ভারত কি তাহলে একজন ''বাংলাদেশীকে'' রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছিল?! বলাবাহুল্য, প্রশ্নটি হাস্যকর।


ফখরুদ্দীন আলী আমেদের জন্ম হয়েছিল দিল্লিতে, ১৯০৫ সালে; ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি দেশ হওয়ার আগেই এবং এই পরিবার আসামের কামরূপ জেলার আদি বাসিন্দা। তরুণ বয়সে ফখরুদ্দীন দিল্লিতে সেইন্ট স্টিফেন কলেজে পড়তেন। ভারত ভাগের বহু পূর্ব থেকে লাহোর হাইকোর্টে আইন ব্যবসা করতেন তিনি। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় ১৯৪২ সালে তিনি আটকও হয়েছিলেন। ১৯৫২-৫২ সময়ে তিনি রাজ্যসভারও সদস্য ছিলেন। তাঁর নামে আসামে একটি মেডিক্যাল কলেজও আছে।


এমন একজন সুপরিচিত ব্যক্তির পরিবারের বাংলাদেশী হওয়া বা বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হিসেবে আসামে যাওয়ার কোন ন্যূনতম প্রমাণই বিজেপি দেখাতে পারবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতীয় প্রচারমাধ্যম এবং শাসকরা ফখরুদ্দিনের পরিবারের মতোই আসামের লাখ লাখ বাসিন্দাকে বিদেশী বলেই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।


আলতাফ পারভেজের ফেসবুক থেকে


বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com