ধরা পড়িলে ক্ষমা পাইবেন না।
কোটা সংস্কার চেয়েছিলেন, কোটাই বাতিল করিয়া দিয়াছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যাহাতে ভবিষ্যতে কোটা নিয়া আপনাদের আর কোনো আন্দোলন করিতে না হয়। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়ে নেত্রী সব সময় ইতিবাচক, এই বিশ্বাস আপনারা রাখিবেন।
আপনাদের এই সাধারন আন্দোলনে যাহারা অসাধারন কর্ম সম্পাদন করিয়াছেন তাহাদেরকেও আলাদা করিয়া চিনিয়া রাখিতে হইবে। তাহাদের এহেন কর্মের জন্য আপনাদেরকে (সাধারন)যেন কেও দোষারোপ করিতে না পারে, সেই জন্য আপনারা নিজ দায়িত্বে তাহাদের চিহ্নিত করিয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন। আপনাদের এহেন মহৎ কাজের মাঝে যাহারা ষড়যন্ত্র করিয়াছেন তাহারা রাজনৈতিকভাবে কোন দলের বেতনভোগী এজেন্ট। তহারা গত ৮ মাস যাবত কয়েক কোটি টাকা খরচ করিয়াছেন আপনাদের গেঞ্জি-ক্যাপ-ব্যানার-ফেস্টুন বাবদ তাহার বিবরণ আমাদের কাছে আছে। তাহারা সুকৌশলে আমার দলের মাঝেও বিরাজ করিতেছেন। তাহার প্রমাণ এইখানে আমাদেরকে চোখে অঙ্গুলী দিয়া প্রদর্শন করিয়াছে। অনেকে না বুঝিয়ে হুজুগে কান দিয়া নাচিয়াছেন এবং এখানো নাচিতেছেন। আর নাচিতে নাচিতে পাগল হইয়া আগামীতে তাহারা অনেক বড় নাচনেওয়ালী হইবেন, আর তাহাদের স্বজন বলিবেন ইহা কেমন নাচন। এমন পাগল কেমন করিয়া হইল আমার বা'জান-মা'জান।
আপনারা পাগল হইবেন পাগলামী করিবেন আপনাদের অভিভাবক তাহা মানিবেন না। হইতে দিবেন না। তাহার জন্য যাহা করা প্রয়োজন তাহা করিবেন। আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে, জননেত্রী ১৬ কোটি বাঙালির অভিভাবক, তাহা আপনারা মানেন আর না মানেন। অভিভাবক হিসাবে শেখ হাসিনা ১০০% সফল। আপনাদের দাবি যৌক্তিক বলিয়া তাহা তিনি মানিয়া নিয়াছেন, তবে পাগলামী মানবেন না। পাগলামী থামাবার জন্য যাহা করণীয়, তাহা করিবেন। তাই নিজের মেধা খাঁটিয়ে যাহা করণীয় তাহা করিবেন। কোনোভাবে এই অভিভাবকের ক্ষতি আপনারা হইতে দেবেন না এই বিশ্বাস শেখ হাসিনা আপনাদের কাছ থেকে আশা করেন। এই বিশ্বাস আপনারা ধরে রাখবেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাহারা যড়যন্ত্র করিয়া সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের আবেগকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করিয়াছেন তাহারা ক্ষমা পাইবেন কি পাইবেন না তাহার বিচারও এই সাধারণ চাত্র-ছাত্রীরাই করিবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে যাহারা ভাঙ্গচুর ও লুটতরাজ করিয়াছেন তাহারা কোনোভাবে শিক্ষিত ও মেধাবী ও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী হইতে পরে না। তাহারা কাহারা, তাহা বাহির করিবেন আপনারা-আমরা সবাই মিলে। আর যদি ইহাদিগকে সনাক্ত করিতে না পারেন তবে তাহারা আগামীতে আপনাদের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করিবেন, যাহা আপনারা ভাবিতেও পারিবেন না। তাই ইহাদিগকে সনাক্ত করিয়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলিয়া দিয়া আপনাদের যৌক্তিক দাবির পথে এগিয়ে যাইবেন। ভুল করে কোনো ষড়যন্ত্রে পা দিলে তাহার পরিণাম কি ভয়ঙ্কর হইবে তাহা অনুমান করিতে পারিবেন না।
সাধারণ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আবেগকে কাজে লাগিয়ে হয়েছিল হেফাযতে ইসলাম। শুরুতে সকল মুসলমান ইহাকে সমর্থন করিলেন। তাহারা কয়েকটি সমাবেশে ভালো কিছু ভাষণ দিয়া সাধারণের কাছে অসাধারণ নেতা সাজিয়া বিশাল এক মহা-সমাবেশের ডাক দিয়া যাহা করিলেন, তাহা আপনারা নিজের চোখে দেখিয়াছেন। একটি ব্যানারের জায়গায় তিনটি ব্যনার, সংসদে আসন বন্টন, মন্ত্রীপরিষদে তাহারা ভাগ বসিয়েছেন জামাত-বিএনপির সাথে। তাহারাও একটি ষড়যন্ত্রে পা দিয়া কয়েক লক্ষ লোকের সমাগম দেখিয়া নিজেদেরকে বিশ্ব নেতা ভাবিতে দেরি করেন নাই। তাহারা এমনভাবে ভাষণ দিলেন, তাহা দেখিয়া সাধারণের মনে হইলো ইহারাও কি রাজনীতি করিবেন? ইহারাও আর সাধারণ থাকিবেন না? ইহারাও রাজনীতি করিবেন? সাধারণদের মন খারাপ ইহল। আর তখন সাধারণদের পক্ষে জননেত্রী অবস্থান নিলেন। অসাধারণদের কিভাবে শাস্তি দিলেন তাহা আপনারা জনেন। আর সাধারণদেরকে কিভাবে খুশি করিলেন তাহাও আপনাদের জানা আছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাহারা নেতৃত্ব দিয়া যাচ্ছেন তাহদের পরিষ্কার ভাষায় বলিতে চাই, কোনো ষড়যন্ত্রে পা দিবেন না। কোনো অসাধারণ নেতা সাজিবেন না। অসাধারণ সাজিলেই সন্দেহ তৈরি ইহবে, সন্দেহ তৈরি হইলে আপনাদের সকল বিষয়ে খোঁজ-খবর জানিতে হইবে, কেঁচো খুঁজিতে গিয়ে কাল সাপ বেরিয়ে আসিবে।। আপনারা যে দাবি করিয়াছেন তাহার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকিবেন, ইহার বেশি বাড়িলে কিন্ত ঝামেলা আছে।
জননেত্রী শেখ হাসিনা কি বলিয়াছেন আপনারা শুনিয়াছেন, কোনো সাধারন ছাত্রের একচুল পরিমাণ ক্ষতি শেখ হাসিনা হইতে দিবেন না এই বিশ্বাস রাখিবেন, আর পাশাপাশি অসাধারণদের চরম শাস্তি দিবেন। এটাও ভাবিয়া রাখিবেন, আগুন নিয়া খেলা করিলে আগুনে পুড়িয়া মরিতে হয়। ইহা গুণীজনরা বলিয়া গিয়াছেন কয়েক হাজার বছর পূর্বে।
কয়েক দিন পূর্বে তারেক রহমানের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের মুঠোফোনের কথোপকথোন শুনিয়া পরিষ্কার হইলাম এইখানেও গভীর ষড়যন্ত্র হইতেছে। মামলাও তুলিতে বলিবেন আবার ভিসি বাড়ি ভাঙ্গচুর ও লুটতরাজের বিচার চাহিয়া বিষয়টা হাস্যকর করিলে আপনাকেই সন্দেহ হইবে। কাহারা ফেইসবুকে গুজব ছড়িয়েছেন তাহার প্রমাণ আছে। কাহারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছেন তাহারও প্রমাণ আছে। শতভাগ নিশ্চিত হইয়া ইহার বিচার হইবে এই বিষয়ে নিশ্চত থাকিতে পরিবেন।
যাহা করিয়াছেন আর যাহা করিতেছেন তাহা হিসাব করিয়া করিবেন। ষড়যন্ত্র করিলে, ষড়যন্ত্রে ভুল করিয়া পদ চিহ্ন রাখিলে তাহার পরিণাম চরম ভয়ঙ্কর হইবে। শত ফুট মাটির গর্তে লুকাইয়া থাকিলেও তুলিয়া আনিতে ভুল করিবে না।
যাহারা ষড়যন্ত্র করিয়াছেন বাংলাদেশ ছাড়িয়া পালাইয়া যান, শেখ হাসিনা একজন মা হিসাবে যেমন কোমল, একজন বিচারক হিসাবে তার চেয়েও কঠিন।
শেখ হসিনার উপর আস্থা রাখুন। আপনাদের এই বিষয়টির সকল বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন। কোনো অবিচার হবে না।
সরদার মামুনুর রশিদের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]