খুব ছোট একটা কথা বলতে চাই।
হত্যা সে যে কারণের হোক, সেটা অপরাধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ নিয়ে কোনো কথা হবে ন, কোনো তর্কের অপশন থাকবে না। সেখানে যারা যারা যুক্ত থাকে তারাই অপরাধী। এমনকি যে দুইজন ছাত্র সেখানে যুক্ত ছিলো তারাও অপরাধী।
আসুন, আমরা অপরাধের কারণ নিয়ে লেবু না কচলে, অপরাধীর শাস্তির জন্য কথা বলি এবং সমাজ থেকে নীতি নৈতিকতা, দায় বা দায়িত্ববোধের জায়গাগুলো কেমন করে ফেরত আনা যায় সেগুলো নিয়ে কথা বলি।
আমরা যারা সহমরণের দাবি জানাচ্ছি সেসব আদিম মানুষগুলোকে কেমন করে আধুনিক করা যায় সেসব নিয়ে ভাবি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বা রামমোহনের বড় অভাব আমাদের এই একবিংশ শতকের ডিজিটাল সমাজব্যবস্থায়। আসুন, ঘটনা থেকে শিক্ষা নেই।
প্রেম কোনো খারাপ বিষয় না বা অপরাধ নয়। কিন্তু প্রেমের কারণে হত্যাকে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য করা যায় না। নারী বা পুরুষ হিসাবে নয়, অপরাধীর বিচার চাইবো অপরাধের কারণে। সভ্য সমাজের আইন অনুযায়ী হবে সে বিচার।
প্রেম মানুষকে অন্ধ করে দেয় না, দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে পারে না। বরং একজন প্রেমিক অনেক বেশী দায়িত্ববান হয়, অনেক বেশী অনুভূতিপ্রবণ হয়। আবেগী হয়, মমত্ববোধের জনক হয়। প্রেম মানেই বিয়ে করা নয়। প্রেম মানেই পরিণতি প্রাপ্ত সম্পর্ক নয়। প্রেম অনেকভাবেই করা যায়। বিয়ে শাদি না করেও আপনি অনেক বড় প্রেমিক হতে পারেন। প্রেম মানে শক্তি, সাহস, প্রেরণা, শপথ। প্রেম অমানুষকেও মানুষ করে দিতে পারে। তবে তার জন্য প্রেমকে বুঝতে হবে, প্রেমকে প্রেম দিতে হবে, প্রেমকে আদর যত্ন দিয়ে নিজের মাঝে জন্ম দিতে হবে। রিপু তাড়িত কিছু নয়, রিপুর তাড়নায় যা করা হয় সেটা প্রেম নয়, প্রবৃত্তি। যে প্রবৃত্তির নিবৃত্তি চায় মানুষ প্রেমের নাম দিয়ে। মানবিকতাকে বাদ দিয়ে কখনোই প্রেম হয় না।
লীনা পারভীনের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]