সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকে ''সুন্দরবনে প্রাচীন মানববসতি'' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন ভিডিওসহ প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টটি যথেষ্ট তথ্যবহুল বলে মনে করতে পারছি না।
প্রতিবেদনের একজায়গায় বলা হয়েছে, ''এর আগেও সুন্দরবনে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের ১৯৯৮ সালের জরিপ এবং বন বিভাগ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও মালয়েশিয়ার তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপে কিছু স্থাপনার খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল।''
উল্লেখ্য ''প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর'' নামে বাংলাদেশের কোনো সংস্থা নেই। আছে ''প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর''। আর সুন্দরবনে ৪/৫দিন ঘুরে এরকম আধা-খেচড়া রিপোর্ট করা যায়। যারা এখানে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই দেশের খ্যাতনামা প্রত্নতত্ত্ববিদ। কিন্তু সুন্দরবন সম্পর্কে তাদের কতটুকু ধারণা আছে তা আমার জানা নেই। এই রিপোর্টের ভাবখানা এমন যে, ''সুন্দরবনে মানববসতি'র ইতিহাস''টি তারাই প্রথম আবিস্কার করেছেন।
যারা ইতিহাস চর্চা করেন তারা নিশ্চয় ইতিহাসবিদ সতীশচন্দ্র মিত্রকে চিনেন। তিনি তাঁর যশোহর খুলনার ইতিহাস বইয়ের প্রথম খণ্ডের ২৬৩ থেকে ২৭৬ পৃষ্ঠায় এব্যাপারে বিস্তারিত লিখেছিলেন। বইটি আজ থেকে ১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে ১৯১৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। আরো আগে উপমহাদেশে বৃটিশ রাজত্ব প্রতিষ্ঠার পর ১৭৭৬ সালে ব্রিটিশ মেজর জেমস রেনেল তার ম্যাপে সুন্দরবনে জনবসতির কথা উল্লেখ করে গেছেন। এছাড়াও সুন্দরবন নিয়ে যারাই গবেষণা করেছেন তারাই বিষয়টি তাদের গবেষণাপত্র বা বইতে উল্লেখ করেছেন।
অনুরোধ থাকবে, যারা সুন্দরবনের প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করবেন তারা যেন আগে সুন্দরবনকে নিয়ে পড়াশোনা করে নেন।
ফরিদী নুমানের ফেসবুক থেকে
বিবার্তা/হুমায়ুন/মৌসুমী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]