শিরোনাম
রফতানি বাণিজ্যে পাট দ্বিতীয় স্থানে
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২০, ১৯:২১
রফতানি বাণিজ্যে পাট দ্বিতীয় স্থানে
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রথমবারের মত বাংলাদেশের রফতা বাণিজ্যে চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে পাট খাত। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, ‘নির্মল ও দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বহুমুখী পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সবধরনের সহায়তা করবে সরকার। এজন্য, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষীদের উদ্বুদ্ধকরণ ও পাট শিল্পের সম্প্রসারণে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারে তৎপর থাকবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।’


কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে রবিবার মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ দফতর/সংস্থাসমূহের কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


মন্ত্রী বলেন, সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদফতরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটচাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষীগণদের প্রশিক্ষিত করা এবং সার্বিকভাবে মানসম্মত পাট ও পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ মে:টন পাট বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সবধরণের সহায়তা অব্যহত রয়েছে।


মন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্প খাতকে আরো শক্তিশালী, নিরাপদ ও প্রতিযোগিতাসক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। বস্ত্রখাতের ‘পোশাক কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে বস্ত্র অধিদফতর তথা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।


সভায় জানানো হয়, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে তাঁতীদের সম্ভাব্য ক্ষতির মূল্যায়ণ এবং এই ক্ষতি উত্তরণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। তাঁতের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় তাঁতীদের শতকরা পাঁচ ভাগে সুদে ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে ৩০০ ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতীদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতীদের ত্রাণ/আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।


বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এবং খাদ্য অধিদফতরের সাথে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক করোনা প্রাদুর্ভাবের সংকট মোকাবেলায় জরুরি কৃষিসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাটের বস্তা সরবরাহ নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিলের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রেখেছে।


উল্লেখ্য, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ৭৯ কোটি ১৩ লাখ ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।


বিবার্তা/জাহিদ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com