হংকংয়ের মডেল ও অভিনেত্রী অ্যাবি চোইকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছেন। খুনের পর তার শরীরের বিভিন্ন অংশ রাখা ছিল ফ্রিজে। এছাড়া রান্নার পাত্রে রাখা ছিল মাথার খুলি। অভিনেত্রীর সাবেক স্বামী ও শ্বশুর এই খুনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, হংকংয়ের শহরতলীর এক বাড়ির ফ্রিজ থেকে মডেল অ্যাবি চোইয়ের টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনতলা ওই বাড়ির নিচতলাটি অস্থায়ী কসাইয়ের দোকানে পরিণত হয়েছিল। ওই বাড়িতে একটি মাংসের স্লাইসার, একটি বৈদ্যুতিক করাত ও কিছু পোশাকও পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) চোইয়ের মাথা পাওয়া গিয়েছিল বাড়ির রান্নার পাত্রে। মাথার অংশে একটি আঘাতের চিহ্ন দেখেই পুলিশের সন্দেহ হয়। আর এরপরেই ফ্রিজে মেলে চোইয়ের টুকরো টুকরো দেহ। তদন্তকারীরা ওই বাড়ি থেকে একটি মাথার খুলি, বেশ কয়েকটি পাঁজর ও মাথার চুল উদ্ধার করেন। তবে চোইয়ের হাতে এবং শরীরে আরও বেশকিছু অংশ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন অ্যাবি চোই। এই খুনের ঘটনায় অভিনেত্রীর সাবেক স্বামী অ্যালেক্স কোয়াং, শ্বশুর কোং কাউ ও দেবর অ্যান্টনি কোয়াংকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে তুলেছে পুলিশ। তারা যাতে কোনোভাবে জামিন না পান, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২০১৫ সালে সোনা কেলেঙ্কারিতেও উঠে এসেছিল চোইয়ের সাবেক স্বামী অ্যালেক্স কোয়াংয়ের নাম। আর শ্বশুর কোং কাউ হংকংয়ের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। দেবর অ্যান্টনি কোয়াংয়ের বিরুদ্ধেও নিষিদ্ধ কাজকর্ম করার অভিযোগ আগে থেকেই ছিল।

২৮ বছর বয়সী মডেল ও অভিনেত্রী অ্যাবি চোইয়ের বহু অনুরাগী রয়েছেন। অভিনেত্রীর এক বন্ধু বার্নাড চেং পুলিশকে জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই সাবেক স্বামী ও পরিবারের সঙ্গে চোইয়ের সম্পর্কের অবনতি হয়। তিনি চোইয়ের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের চিনতেন। চোই ভালো মানুষ ছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই বন্ধু।

বিবার্তা/জবা/কেআর