সরকারি নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যম বিবার্তা২৪ডটনেটে রবিবার, ১১ জুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ‘সিন্ডিকেটের প্রতিটি সভা অনলাইনেই সারেন বেরোবি'র ভিসি’ শিরোনামের একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর স্বাক্ষরীত একটি প্রতিবাদ লিপি পাঠান।
নিচে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাঠানো প্রতিবাদ লিপিটি প্রকাশ করা হলো-
১২ জুন, সোমবার দৈনিক বিবার্তা অনলাইন পোর্টালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে প্রকাশিত ‘সিন্ডিকেটের প্রতিটি সভা অনলাইনেই সারেন বেরোবি'র ভিসি’ সংবাদটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাখ্যা হলো- ২০২১ সালের ১৪ জুন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ। তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন দেশে করোনা মহামারি চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ফলে সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে জরুরিভিত্তিতে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করেন। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটালাইজড করা হয়। শিক্ষার্থী ভর্তি, ফরম ফিলাপ, ফলাফলসহ সকল ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজড করায় দীর্ঘদিনের সেশনজট এক বছরেই প্রায় মুক্ত হয়ে যায়।
সিন্ডিকেট সভা ও একাডেমিক কাউন্সিলসহ অনেক সভা অনলাইনে জুম লিংকের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইন সুবিধার কারণে করোনা মহামারিও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
উপাচার্য পদাধিকারবলে সিন্ডিকেট সভার সভাপতি। আর এই বিশ্ববদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, দুইজন ডিন, দুইজন সিনিয়র অধ্যাপক, একজন পরিচালক, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের দুইজন অতিরিক্ত সচিব, রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার, চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান হলেন সিন্ডিকেটের সদস্য। ফলে করোনাকালে অনলাইনে সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভা কিংবা একাডেমিক কাউন্সিলের যে সকল সম্মানিত সদস্য ঢাকা, চট্রগ্রাম, যশোর কিংবা রাজশাহী থেকে আসতে সমস্যা; তারাও নিয়মিতভাবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তাদের মতামত প্রদানে সক্রিয় থেকেছেন। পূর্বের সভার কার্যবিবরণী পরবর্তী সভায় সকল সদস্য শুনে ও বুঝে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে থাকেন। সুতরাং নিজের মতো করে উপাচার্যের এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগ বা সুবিধা নেই।
২০২২ সালে করোনা মহামারি কমলেও আর্থিক সংকটের কারণে বেশ কিছু বিধি নিষেধ মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে হচ্ছে।
গত ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশনা পত্র (স্মারক নং ৫৭.০০.০০০০. ০৪০.৯৯.০০৭.২০.৭৫৪, তারিখ: ১ আগস্ট ২০২২) দেওয়া হয়। সেই পত্রের সাথে সংযুক্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত ‘ব্যয় সংকোচন সংক্রান্ত বিশেষ সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত-৫/ঘ মোতাবেক সশরীরে সিন্ডিকেট সভা আহ্বানের পরিবর্তে অনলাইনে সভা আহ্বান করা হয়। অনলাইনে সভা আহ্বান করা হলে সরকারি অর্থের অন্তত ৬০-৭০% খরচ সাশ্রয় হয়ে থাকে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য নিয়ম ও সরকারি নির্দেশনার প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। একটি মহল বিকৃতভাবে কিছু অসত্য তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করে বিশ্বিবদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে বিভ্রান্তকর, মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]