রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শনিবার স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের পর রেললাইন অবরোধ ও স্লিপারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটি মামলা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ১৩ মার্চ সোমবার রাত ১১টার দিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) ভবেশ চন্দ্র রাজবংশী রাজশাহী রেলওয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আসামি হিসেবে ২০০-৩০০ জন অজ্ঞতানামা ‘বিক্ষুব্ধ জনতার’ কথা বলা হয়েছে।
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ওসি গোপাল কর্মকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাতে মামলা হয়েছে। তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। মামলায় কোনো প্রতিষ্ঠানের কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় বিক্ষুব্ধ জনতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা গেট এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা রেললাইনে আগুন লাগিয়ে দেন। তারা গুমটিঘরের জানালা ভাঙচুর করেন। এ সময় রেললাইন সম্পত্তি নাশকতা চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। আগুনে পুড়ে তিনটি কাঠের স্লিপার সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নষ্ট হওয়া মালপত্রের বিপরীতে ৯২টি প্যান্ডল ক্লিপ, একটি স্টিল স্লিপার ও তিনটি কাঠের স্লিপার লাইনে লাগানো হয়। পরে রাত ১২টা ১০ মিনিটে লাইনে ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হয়।
গত শনিবার বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে বিনোদপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থীরা। সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এ সংঘর্ষের জেরে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে নাটোরের দিক থেকে আসা যানবাহনগুলো শহরে প্রবেশ করতে বিকল্প পথ হিসেবে বুধপাড়া ফ্লাইওভার হয়ে ঢোকে। আর নগরীর সাহেব বাজারের দিক থেকে কাটাখালীর দিকে আসা ছোট যানবাহনগুলো ফুলতলা বালুরঘাট হয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া বাসগুলো শিরোইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে ভদ্রা মোড় দিয়ে নতুন বাইপাস হয়ে নাটোরের দিকে যায়।
সংঘর্ষের পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর ও কাজলা ফটকে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে।
একই দিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মতিহার থানায় মামলা করেন।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]