শিরোনাম
এক স্বপ্ন ভাঙা তরুণের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০১৯, ২২:১৩
এক স্বপ্ন ভাঙা তরুণের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প
উজ্জ্বল এ গমেজ
প্রিন্ট অ-অ+

শেষবারের মতো আমি যখন অধ্যক্ষের পা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলাম, ‘স্যার, আমার কোনো অপরাধ নেই, প্লিজ আমার জীবনটা এভাবে নষ্ট করবেন না।’ তখন আমি তার চোখে মমতার পরিবর্তে হায়নার ক্রোধ দেখছিলাম। নিরুপায় হয়ে যখন কিছুতেই আমি তার পা ছাড়ছিলাম না, তখন তিনি তার বুটজুতা দিয়ে জোরে আমার বুকে একটা লাথি মারলেন। হলের মেঝেতে লুটিয়ে অজ্ঞান হবার আগে অসহায় চোখে বছর বছর ধরে গড়ে তোলা মায়ের স্বপ্ন, বিশ্বাস আর ভবিষ্যৎকে একজন সৈনিকের বুটজুতার তলে পিষ্ট হতে দেখছিলাম।


এভাবেই জীবনের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার মুহূর্তের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিলেন প্রগ্রতিশীল সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক আবদুল্লাহ আল ইমরান।



বুটজুতার তলে বুক পিষ্ট হলেও পিষ্ট হয়নি তার বুকে তিল তিল করে গড়ে উঠা স্বপ্ন। ওই দুর্ঘটনাই তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। একটা ব্যর্থতায় মোড়া দুর্ঘটনাই সফলতার পথে তাকে জাগিয়ে রেখেছিল ভোর থেকে ভোর।


কী ছিল সেই দুর্ঘটনা? খাদের কিনার থেকেও কিভাবে ফিরে এলেন স্বপ্নবাজ এই তরুণ? সমান্য একটি পরীক্ষায় তথাকথিত জিপিএ-৫ এর কাছে হেরে না গিয়ে কিভাবে জিতিয়ে দিলেন মায়ের অমূল্য ভালোবাসাকে?


ইমরান জানালেন, হ্যাঁ, কোনো উজ্জ্বল সফলতা নয়, এই ছোট্ট জীবনে যা কিছু অর্জন, যতটুকু এগোতে পেরেছি, তার পুরোটাই যে ওই ঘটনায় পাওয়া জীবনবোধের কারণেই, তা আমি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি। ওই ঘটনার সুতীব্র ধাক্কা শুরুতে আমার সবকিছু থামিয়ে দিলেও পরবর্তীতে এগিয়ে যেতে এমন আরেক জোরালো ধাক্কা দিয়েছিল যে, সে গতি আর থামেনি কখনো। এখনো চলছে বিপুল বিক্রমে।



সময়টা ছিল ইমরানের এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষার মাঝামাঝি। অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দিতে ঘর থেকে বেরোনোর আগে অসুস্থ মাকে সালাম করতে গেলে স্নেহময়ী মা মলিন কন্ঠে বললেন, ভাল করে পরীক্ষা দিস বাবা, তোকে এ প্লাস পেতেই হবে। ইমরান মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালেন। রিকশায় চড়ে পরীক্ষা কেন্দ্র খুলনা নৌ-বাহিনী কলেজে যেতে যেতে হিসাব কষতে থাকেন পূর্বেকার পরীক্ষাগুলোর। বুঝতে পারেন কেবল আজকের পরীক্ষাটা ভাল হলেই সব মিলিয়ে তার মায়ের স্বপ্নটা পূরণ হতে যাচ্ছে। এরপর ঢাকায় যাবেন কোচিং করে ভর্তি হবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং রাশি রাশি আনন্দের উপকরণ নিয়ে হাজির হবেন তার অভিমানি মায়ের সামনে। এ রকম নানা রঙের স্বপ্নগুলো রিকশার চাকার ঘূর্ণনের সাথে সাথে তার মনের মধ্যে উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছিল।


আসলে মানুষ তো বাঁচে স্বপ্নে, কিন্তু অপ্রত্যাশিত কোনো আঘাতে মানুষের সারা জীবনের স্বপ্ন কাঁচের মতো ঝুরঝুর করে ভেঙে যেতে পারে তা কেবল গল্প উপন্যাসে পড়েছি, বাস্তবে উপলব্ধি করিনি কোনোদিন। সৃষ্টিকর্তা পরীক্ষার হলে তারই বাস্তবায়ন ঘটালেন আমাকে দিয়ে। বললেন ইমরান।



সকাল ৯টা ৫০ মিনিট। লেখার জন্য শিক্ষক ইমরানকে যে খাতাটি দিলেন তা বান্ডিলের উপরে থাকায় ভাঁজপড়া ছিল। খাতাটি পরিবর্তন করে দিতে বললে হল পরিদর্শক তাকে না করে দেন। পুনরায় অনুরোধ করলে ওই পরিদর্শক তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে ‘বেয়াদব’ বলেন। পরীক্ষার হলে একজন শিক্ষকের এমন আচরণে বিস্মিত হয়ে চুপচাপ সজল চোখে ভাঁজপড়া খাতাতেই পরীক্ষা দেয়া শুরু করেন ইমরান।


প্রশ্ন পাবার পর ঘটে যাওয়া ঘটনা ভুলে আমি লিখতে শুরু করি। দুই ঘন্টা লেখার পর হঠাৎ নৌ-বাহিনী কলেজের অধ্যক্ষ আমাদের রুমে প্রবেশ করেন। প্রচণ্ড চিৎকার করে বলেন, হোয়ার দ্য বাসটার্ড? সমস্ত হল রুম তখন নীরব-নিস্তব্ধ। ওই শিক্ষক আমাকে দেখিয়ে দিলে রুদ্রমূর্তির অধ্যক্ষ ছো মেরে আমার খাতাটি নিয়ে যান। বললেন ইমরান।


এরপরের ঘটনাগুলো খুব দ্রুত ঘটে। শিক্ষকের সাথে অসাদাচরণের অভিযোগে তাকে বহিষ্কারের প্রস্তুতি চলছিল। ইমরান শুধু অসহায় চোখে দেখছিলেন কিছু ক্ষমতাবান মানুষ কত সুনিপুণভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন।



মায়ের স্বপ্ন পূরণে অধ্যক্ষের পা পর্যন্ত জড়িয়ে ধরে জীবনের শেষ চেষ্টাটুকু করেন ইমরান। কোনো আকুতিই অধ্যক্ষের পাষাণ হৃদয়কে ছুঁতে পারেনি সেদিন। বুটজুতার তীব্র আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়েছিলেন নির্দোষ ছাত্রটি। সেই সাথে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছিল তার বুকে লালন করা স্বপ্নটিও।


ইমরানের ওই ঘটনাটা দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল সে সময়ে। মানববন্ধন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেয়া, উপদেষ্টার নির্দেশে তদন্ত কমিটি, বোর্ডের চেয়ারম্যানের দুঃখ প্রকাশ, ছবিসহ পত্রিকার পাতায় বিশাল বিশাল নিউজ... আরো কত কি!


ইমরান তখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন এক স্বপ্ন ভাঙা তরুণ। কিন্তু কিছুতেই অপরাধীদের কোনো কিছু হল না। তার অভিমানী মা আঁচলে মুখ লুকিয়ে কাঁদেন। কেননা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন নিজের স্বপ্ন ভাঙার কষ্টের চেয়ে ছেলের স্বপ্ন ভাঙার কষ্ট যে কত বেশি!


ইমরানের বন্ধু তমাল, শাওন, তানায, রবি, ওয়ালিদ, পলাশ, মহিউদ্দিন, মোহাইমিন, শিমুল, ইয়াহিয়া, কিনুরাম স্যার, শাওন তাকে স্বাভাবিক করে তোলার জন্য অনেক কিছু করেছেন। তার ঘুম ঘুম দিন যেত, ঘুম ঘুম রাত। মায়ের অনুপ্রেরণায়, বন্ধু, প্রিয়জনদের প্রচেষ্টায় অসংখ্য নাম না জানা মানুষের প্রার্থনায় ইমরান আবার মানসিকভাবে ঘুরে দাঁড়ান। যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, যা হবার তা তো হয়েছে বাবা। মনে করো এটা একটা দুর্ঘটনা। সব ভুলে তাকে আবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেন।


হুট করে এমন পরাজয়কে মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল ইমরানের। চোখের সামনে সব বন্ধুকে ভালো ফল করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে দেখে আর নিজের পরিণতির দিকে তাকিয়ে তার রাতভর ঘুম হতো না। তার বার বার মনে হতো মরে গেলেই হয়তো ভাল হতো! হতাশা তাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল।



ফলাফল হিসেবে তিনি সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। চলে যান গ্রামে নানাবাড়ি। চেনা জগতে আর না ফেরার প্রতিজ্ঞা করেন। সেখানে একটা স্কুলে বাচ্চাদের পড়ানো শুরু করে দিলেন। প্রতিরাতে স্বপ্ন ভাঙার কষ্টে মুষড়ে যেতেন তিনি। ফের পরীক্ষা দিতে পারবেন এমন কোনো জোরই ছিল না তার মনে। কিন্তু শেষে ফিরলেন। মনের জোরেই ফিরলেন। ফের পরীক্ষা দিয়ে ভাল ফলাফল করেন। এ প্লাস না পেলেও মানবিক বিভাগ থেকে ৪.৮০ পান উদ্যোমী এই ছাত্র। এরপর অক্লান্ত পরিশ্রম আর প্রচেষ্টায় ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।


আমার মায়ের মলিন মুখে ঠিকই হাসি ফুটল। তবে অনেক বৃষ্টি ঝরার পর। আমার জীবন থেকে যারা একটি বছর কেড়ে নিয়েছিলেন তাদের কোনো বিচার হয়নি। দুটি তদন্তের একটিরও রিপোর্ট কেউ জমা দেননি। এডিসি (শিক্ষা) আমাকে একদিন ডেকে নিয়ে বললেন, ইমরান আমি দুঃখিত। এ রিপোর্ট জমা না দিতে উপরের চাপ আছে! বললেন ইমরান।


অধ্যবসায়ী এই তরুণের ভাষ্য, নিজের ছোট্ট জীবন থেকে বুঝতে পেরেছি, যে কোনো মুহূর্তে, যে কোনো জায়গা থেকেই মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। শুধু লাগে একটা দৃঢ় প্রত্যয়। আসলে শেষ বলে কিছু নেই, ব্যর্থতার মাঝেই লুকিয়ে থাকে বড় কোন বিজয়ের প্রেরণা।


ইমরান বলেন, আমার কারো উপর কোনো অভিযোগ নেই। আমি যে হারিয়ে যাইনি এটাই জরুরি খবর। সব সম্ভবের এ দেশে আমার স্বপ্নগুলো যে ‘বুটের আঘাত’ নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারেনি এটাই বা কম কিসে! এই লেখাটা যদি খুলনার সেই অধ্যক্ষ আর শিক্ষক পড়েন তবে বলব, পেশিশক্তি দিয়ে কাউকে আপাত দৃষ্টিতে দমিয়ে রাখা গেলেও স্বপ্নবাজরা অপেক্ষা করেন সত্যিকার কোনো সময়ের, যে সময় হয়ে ওঠে নিজেই বিপ্লবী।


বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই তরুণের সঙ্গে যখন অন্যায়টা ঘটে তখন তিনি ছিলেন খুলনার সেরা বিতার্কিক। প্রথম-আলো বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেন্ট যোসেফস স্কুলের হয়ে স্কুল পর্যায়ে, পরেরবার পাবলিক কলেজের হয়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পর পর দুই বছর সেরা বক্তা হয়েছিলেন তিনি। ছিলেন ছোটকাগজ জলজের সম্পাদক এবং নিজের কলেজের কালচারাল প্রিফেক্ট ও বিতর্ক দলের দলনেতাও।


বন্ধুসভার এ প্লাস সংবর্ধনা, ম্যাথ অলিম্পিয়াডসহ নানা অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করে নাম কুড়িয়েছিলেন ততোদিনে। বিতর্ক কর্মশালাগুলোতে তার অর্জনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ডাক পড়তো ডিবেটিং সোসাইটি থেকে। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাগুলোতে ওই সময় নিয়মিত ছাপা হতো তার ছোট গল্প, ফিচার। এমনকি যশোর শিক্ষাবোর্ডের ওই সময়কার চেয়ারম্যান আমীরুল আলম খানের সঙ্গেও একই পত্রিকায় নিয়মিত লেখা ছাপা হতো এই লেখকের!


বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তার অর্জনের ঝুলিটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। বরাবরের মতো ভাল বিতার্কিক হিসেবে বিটিভির ২১তম জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় (সংসদীয় ধারা) সেরা বক্তা হন। দেশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাসভিত্তিক আইটি সংগঠন ঢাকা বিশ্ববদিল্যায় আইটি সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।


বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষেই স্বপ্নের পেশা সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেন। ওয়েজবোর্ডে আকর্ষণীয় বেতনসহ একটি জাতীয় দৈনিকে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে শুরু হয় তার সাংবাদিকতার জীবন। বর্তমানে তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪ এর ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন টিমে অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন।


ইতোমধ্যে অর্জনের ঝুলিতে কিছু পুরস্কারও উঠেছে তার। প্রশ্নফাঁস নিয়ে টানা অনুসন্ধানের খবর পরিবেশনার জন্য সিআইডি থেকে পেয়েছেন 'আউটস্টান্ডিং জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড'। নারী হয়রানি ও নাগরিক ভোগান্তি লাঘবে সারা বছর নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদের একটা ব্যক্তিগত ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন তিনি যা মার্কেট এলাকায় একটা নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে। এর জন্যও তিনি পেয়েছেন যমুনা টিভির দুরন্ত বাংলাদেশ সম্মাননা।



লেখালেখিতেও রয়েছে তার নেশা। এ পর্যন্ত প্রকাশিত তার বইয়ের সংখ্যা ৬টি। সেগুলো হলো, ‘এই সব ভালোবাসা মিছে নয়’, ‘কালচক্র’, ‘দিবানিশি’, ‘হৃদয়ের দখিণ দুয়ার’, ‘চন্দ্রলেখা’ ও ‘উড়ে যায় নীল টিপ’। যার মধ্যে 'কালচক্র' উপন্যাসকে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস দাবি করেছেন। উপন্যাসগুলো পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা।


এসব হয়তো আহামরি কোনো অর্জন নয়, কিন্তু এইচএসসির ওই ঘটনার পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার জন্যে অনেক কিছুই। কেননা, এক যুগ আগেও আমার জীবন ছিল অনিশ্চিতায় ভরা। অন্ধকারে ডুবে ছিল সব। কোথাও কোনো আলো ছিল না। তবু মনেপ্রাণে শুধু একটা জিনিসই বিশ্বাস করেছি, উদ্দেশ্য সৎ থাকলে, নিজের স্বপ্নের উপর বিশ্বাস রাখলে এবং ধারাবাহিক চেষ্টা করে গেলে- সাফল্য আসবেই। বললেন প্রগতিশীল এই কথা সাহিত্যিক।


এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যর্থ ভাই-বোনদের প্রতি ইমরানের ভাষ্য, আমার মনে হয়েছে, যে কোনো ব্যর্থতাই আসলে আরো বড় কোনো সফলতার উপলক্ষ্য মাত্র! আর তাই, এইচএসসিতে সফলদের পাশাপাশি শুভেচ্ছা সেইসব ব্যর্থদেরও, যারা আগামীতে আরো বড়ো কোনো সফলতার প্রতীক হয়ে উঠবে, উজ্জ্বল করবে নিজের পরিবার ও দেশের মুখ। নিজেকে ধ্বংস করে নয়, গড়তে হবে নতুন করে। তুমি পারবে- এই বিশ্বাস রাখতে হবে প্রাণে। কেননা, 'If You Believe, You Can Achieve.' তাই, বলি, সহজেই হাল ছেড়ো না। নিজের মেধা ও যোগ্যতার উপর ভরসা রেখো। ভরসা রেখো সৃষ্টিকর্তার উপর। তোমার জন্য কী অপেক্ষা করছে তুমি জানো না। কেননা, জীবন ক্ষণে ক্ষণে বাঁক বদলায়। খাদের কিনারে দাঁড়িয়েও শেষ মুহূর্তে ফেরার পথ খুঁজে পায় মানুষ, জীবন নেয় নতুন আরেক বাঁক। এইতো জীবন, মায়াবী অদ্ভূত রহস্যে ঘেরা!


বিবার্তা/উজ্জ্বল/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com