ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে জেলা সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সমাবেশে মিলিত হয়।

জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী হাফিজুল ইসলাম নাছুরের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক আরশাদুল ইসলাম।

সমাবেশে বক্তব্য দেন—কালেক্টরেট নন-গেজেট কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম ভূইয়া, সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন সফিক, আবু কাউছার, সরকারি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ আশরাফ আহমেদ, সমাজসেবা কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সমিতির সভাপতি জহিরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারী সমিতির সভাপতি আমির হামজা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী সভাপতি মোঃ মনির, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কর্মচারী সভাপতি ও জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি হাজী মোঃ আব্দুল্লাহ, ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল কর্মচারী সমিতির সভাপতি আব্দুল মোমেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী সভাপতি মোঃ ইসমাইল এবং ১৭-২০ গ্রেডের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ সরকারি কর্মচারীদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত নতুন পে-স্কেল ঘোষণা ও কার্যকর করার দাবি জানান তারা। বক্তারা ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় বেতন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি এবং ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে তা কার্যকর করার আহ্বান জানান।

এছাড়া বক্তারা টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, শতভাগ পেনশন প্রথা পুনর্বহাল, সচিবালয়ের মত অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, জাতীয় সার্ভিস কমিশন গঠন, আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বাতিল, শূন্যপদে সরাসরি নিয়োগ, ন্যায্যমূল্যের রেশন প্রদান ও ব্লকপোস্টে পদোন্নতি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, আইএলও সনদ ৮৭ ও ৯৮ ধারার আলোকে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস