
টানা ৬ ম্যাচ হার। আগের ম্যাচে ১৯৪ রান করেও হারতে হয়েছিলো ঢাকা ক্যাপিটালসকে। জয়ের রাস্তায় কিভাবে ওঠা যায়, সে চিন্তায় অস্থির ঢাকার টিম ম্যানেজমেন্ট।
এরই মধ্যে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে বাদ পড়লেন লিটন দাস। দলের ব্যর্থতা আর নিজের ব্যর্থতা- দুটোই তাঁতিয়ে দিয়েছে লিটন দাসকে। তার সঙ্গে সুর মেলালেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ পাওয়া আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লিটন আর তানজিদ তামিম মিলে ব্যাট হাতে রেকর্ডের পর রেকর্ড জন্ম দিয়েছেন। দূর্বার রাজশাহীর বোলারদের বেদড়ক পেটালেন দু’জন। প্রায় পুরোটা ইনিংস খেলে দিলেন এ দু’জনই।
কিন্তু পুরো ইনিংসের মাত্র ৩ বল বাকি থাকতে আউট হয়ে যান তানজিদ হাসান তামিম। তার আগেই সেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। সেঞ্চুরি করেন লিটন দাসও। দু’জনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ওপেনিং জুটিতে ওঠে ২৪১ রান।
বিপিএলের ইতিহাসে ওপেনিংই নয়, যে কোনো উইকেট জুটিতে এটা সর্বোচ্চ রানের জুটি। সে সঙ্গে ঢাকা ক্যাপিটালসের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান। বিপিএলের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহের রেকর্ড।
এর আগে বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ২০১৯ সালে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২৩৯ রান করেছিলো রংপুর। এরপর ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করেছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
আজ টস জিতেছিলেন দূর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। টস জিতে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান তিনি। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রাজশাহীর বোলারদের ওপর চড়াও হন লিটন এবং তানজিদ তামিম। দু’জন ১৯.৩ ওভার পর্যন্ত খেলে ফেলেন। তাতে ওঠে ২৪১ রান। বিপিএলে যে কোনো উইকেট জুটিতে এর আগে সর্বোচ্চ ২০১ রান ছিল রেকর্ড। এবার সেটা ভেঙে দিলেন লিটন ও তামিম।
শেষ পর্যন্ত ২৫৪ রানে গিয়ে থামে ঢাকা ক্যাপিটালসের স্কোর। ১০৮ রান করে আউট হন তানজিদ হাসান তামিম। ৬৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৮টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ৫৫ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। ১০ বাউন্ডারির সঙ্গে ৯টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ৭ রানে অপরাজিত থাকেন সাব্বির রহমান।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]