ক্ষমা চাওয়ার উত্তম দিন জুমাবার
প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৮
ক্ষমা চাওয়ার উত্তম দিন জুমাবার
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গুনাহমুক্ত জীবন আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত। গুনাহ থেকে মুক্ত থাকলেই পরকালে মিলবে জান্নাত। অনন্ত অসীম কাল সুখের জীবন লাভ করতে দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত থাকা অপরিহার্য।


জুমাবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনে আল্লাহ বান্দাদের ক্ষমা করেন। হযরত সালমান ফারসি রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, সাধ্যমতো পবিত্র হলো, তেল ব্যবহার করল, ঘর থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করল, অতঃপর মসজিদে এলো, সেখানে দুজন মুসল্লির মধ্যে ফাঁক করে সামনে এগিয়ে যায় না, নির্দিষ্ট পরিমাণ নামাজ পড়ল, অতঃপর ইমাম কথা শুরু করলে চুপ থাকল তাহলে আল্লাহ তাআলা তার দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করবেন। (সহিহ বুখারি ৮৮৩)


এ দিন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার উত্তম দিন। এ দিনে একটি সময় রয়েছে, যখন আল্লাহর কাছে কোনো দোয়া করা হলে আল্লাহ তা কবুল করেন। জাবের রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. বলেন, জুমার দিন কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে ভালো কিছুর দোয়া করলে আল্লাহ তাকে তা দেন। তোমরা সময়টি আছরের পর অনুসন্ধান করো। (আবু দাউদ ১০৪৮)


বেশি বেশি দরুদ পড়ার মাধ্যমেও গুনাহ মাফ করিয়ে নেয়া যায়। শুক্রবারে দরুদ পাঠে রয়েছে অসাধারণ ফজিলত। নিষ্পাপ ফেরেশতারাই দরুদ পাঠকারীর জন্য ইস্তেগফার করেন। মহানবী সা. বলেন, তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পড়। কারণ, জিব্রাইল আ. এইমাত্র আল্লাহ তাআলার বাণী নিয়ে হাজির হলেন।


আল্লাহ তাআলা বলেছেন, পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে। (তারগিব ৩-২৯৯)


রসুল সা. বলেন, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন পৃথিবীর দিবসগুলোকে নিজ অবস্থায় উত্থিত করবেন। তবে জুমার দিনকে আলোকোজ্জ্বল ও দীপ্তিমান করে উত্থিত করবেন। জুমা আদায়কারীরা আলো দ্বারা বেষ্টিত থাকবে, যেমন নতুন বর বেষ্টিত থাকে।


এটি তাকে প্রিয় ব্যক্তির কাছে নিয়ে যায়। তারা আলোবেষ্টিত থাকবে এবং সেই আলোতে চলবে। তাদের রং হবে বরফের মতো উজ্জ্বল ও সুগন্ধি হবে কর্পূরের পর্বত থেকে সঞ্চিত মিশকের (বিশেষ সুরভি) মতো। তাদের দিকে জ্বিন ও মানুষ তাকাতে থাকবে।


তারা আনন্দে দৃষ্টি ফেরাতে না ফেরাতেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের সঙ্গে একনিষ্ঠ সওয়াব প্রত্যাশী মুয়াজ্জিন ছাড়া কেউ মিশতে পারবে না। (মুসতাদরাক হাকেম ১০২৭, ইবনে খুজায়মা ১৭৩০)


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com