
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা পৌঁছিয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা সারাদেশে সর্বোচ্চ তাপামাত্রা। অতি তীব্র তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গাবাসীর জনজীবন।
২৯ এপ্রিল, সোমবার সকাল ৯ টায় টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করে ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪৯ শতাংশ।
দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। আর বিকেল ৩ টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ।
এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস বলছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
এপ্রিলের শেষে জেলার তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা আগেই জানিয়েছিল চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার। এদিকে অতি তীব্র দাবদাহে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
এর আগে গতকাল ২৮ এপ্রিল, রবিবার সকাল ৯টায় ৩৪ ডিগ্রি, দুপুর ১২ টায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও বিকেল ৩ টায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে চলমান তাপদাহে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে জেলাব্যাপী মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
চলমান তাপদাহে ফসল রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, বর্তমানে জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আগামীকাল ৩০ এপ্রিলের পর থেকে জেলার তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ৪ মে পর থেকে চুয়াডাঙ্গায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি এক সপ্তাহের মতো স্থায়ী হতে পারে। এসময় তাপমাত্রা সহনশীল থাকবে।
বিবার্তা/আসিম/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]