
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একদিনে হবে গণভোট। নির্বাচনের ব্যালট হবে সাদা, আর গণভোটের ব্যালট হবে রঙিন, যাতে ভোটার ভুল না করেন।
২৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের পর বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই একই সময়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের বিভ্রান্তি এড়াতেই দুই ধরনের ব্যালটপত্রের রঙ আলাদা রাখা হচ্ছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, গণভোটে একটি মাত্র প্রশ্ন থাকবে। প্রশ্নটা হলো- জুলাই জাতীয় সনদ আদেশ ও সংবিধান সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবে ভোটারের সম্মতি আছে কিনা। সেখানে হ্যাঁ ও না দুটি অপশন থাকবে। সম্মতি জানালে ‘ হ্যাঁ’ ভোট, অসম্মত হলে ‘না’ ভোট দিতে হবে।
তবে, নিরক্ষর বা কম শিক্ষতদের জন্য গঠভোটের ৪টি বিষয়ের ওপর প্রশ্নের ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনে কী ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, এ জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। মূল প্রচারণ নির্বাচন কমিশন করলেও সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংসহ আরও কয়েকটি দপ্তর এ বিষয়ে কাজ করবে। ‘না বোঝার জটিলতা’ অধিক প্রচারণার মাধ্যমে দূর হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে ভোট প্রদান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রচলিত সিল দিয়েই ‘ছাপ’ ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে। ফলে জাতীয় ও গণভোটের আলাদা কোনো সিল হবে না। একই সিল ব্যবহার করে ভোট দেবেন ভোটাররা।
উপদেষ্টা বলেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসাররাই গণভোটের দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে ভোটের ফলাফল গণনার ক্ষেত্রে আলাদা কোনো সময় নির্ধারণ বা কর্মকর্তা নিযুক্ত থাকবে না। বরং একই সময়ে সাধারণ এবং গণভোট গণনা করা হবে এবং একই ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারাই গণনার কাজ কাজটি করবেন বলে জানান আইন উপদেষ্টার আসিফ নজরুল।
ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আখতার হোসেন জানান, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উভয় ক্ষেত্রেই পোস্টাল ব্যালটের সুযোগ রাখা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট হবে সাদা কাগজের ওপর কালো প্রতীক। আর গণভোটের ব্যালট হবে রঙিন কাগজের ওপর দৃশ্যমান কোনো কালি। ব্যালট পেপার প্রিন্টিং বিষয়ে সরকারি প্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ইসি সচিব আরও জানান, ভোটার তালিকাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকা চূড়ান্তের ঘোষণা আসতে পারে। নতুন তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনের কাজ চলবে।
গত ২০ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভোট আইন অনুমোদন করে সরকার। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের করা প্রস্তাবের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই গণভোট বাস্তবায়নের জন্যই সরকারের পক্ষ তৈরি করা হলো গণভোট অধ্যাদেশ।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]