
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমি শহিদুল আলম, বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী এবং লেখক। আমাদের সমুদ্রে আটক করা হয়েছে এবং আমাকে ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী অপহরণ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির সক্রিয় সহযোগিতা এবং সহায়তায় যারা গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আমার সকল কমরেড এবং বন্ধুদের কাছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করছি। জানা গেছে, শহিদুল আলম ‘কনশান্স’ নামের একটি জাহাজে রয়েছেন।
এদিকে গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলা জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের কনভয়ে আক্রমণ করেছে এবং গাজার দিকে যাত্রা করার সময় বেশ কয়েকটি জাহাজকে আটক করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় যাওয়ার পথে কমপক্ষে দুটি নৌকায় উঠে পড়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুধবার অন্তত তিনটি জাহাজ আটক করেছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছে, গাজা সানবার্ডস, আলা আল-নাজ্জার ও আনাস আল-শরীফ নামের তিনটি জাহাজে হামলা চালিয়ে অবৈধভাবে লোকজনকে আটক করা হয়েছে। গাজা উপকূল থেকে প্রায় ২২০ কিলোমিটার দূরে বুধবার ভোরের দিকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানিয়েছে।
‘কনশান্স’ নামের একটি জাহাজেও আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ওই জাহাজে ৯০ জনের বেশি সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মী ছিলেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেছে, আইনি নৌ অবরোধ ভাঙার আরেকটি ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছে। ওই জাহাজগুলো এবং যাত্রীদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, সব যাত্রী নিরাপদ ও সুস্থ আছেন এবং তাদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হবে।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, আটককৃত নৌবহরগুলোতে গাজার ক্ষুধার্ত হাসপাতালগুলোর জন্য ১ লাখ ১০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের ওষুধ, শ্বাসযন্ত্রের সরঞ্জাম ও পুষ্টিসামগ্রী ছিল।
গত কয়েক মাসে ইসরায়েল গাজায় প্রবেশের চেষ্টা করা একাধিক আন্তর্জাতিক সহায়তা বহরকে বাধা দিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত এ অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগের সপ্তাহে ইসরায়েল একই সংগঠনের প্রায় ৪৫টি জাহাজ আটক করেছিল। এসব জাহাজে রাজনীতিক ও অধিকারকর্মীদের পাশাপাশি সুইডেনের জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। ওই ঘটনার পর ইউরোপজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]