প্রতিটি সম্পর্কেই সুন্দর কিছু মুহূর্ত ও স্মৃতি থাকে। যা আমাদের মন খারাপের সময় মনকে ভালো করে। তবে এর থেকেও কঠিন সত্য হচ্ছে, সম্পর্কের বিচ্ছেদ অনেক বেশি কষ্ট ও যন্ত্রণাদায়ক হয়। যখন কোনো সুন্দর ও রোমান্টিক একটি সম্পর্ক বিচ্ছেদে গড়ায়, তখন তা মানসিকভাবে প্রভাব ফেলে।
সাধারণত প্রেম-ভালোাবাসার সম্পর্কে ব্রেকআপ এবং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ডিভোর্স হলে তা স্বাভাবিক অর্থেই একপক্ষের মেনে নেয়া কষ্টের হয়। এ সময় কোনো একজনের ভাবনায় দুঃখ, কষ্ট, রাগ, যন্ত্রণা, বিরক্তি, অপরাধবোধ, ভুল ধারণাসহ নানা বিষয় উঠে আসে। অনেক সময় ঈর্ষাও কাজ করে। কিছু কিছু সময় পরিবারের সঙ্গেও দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
এ সময় একাকীত্ব তৈরি হয় এবং নানা ধরনের চিন্তা আসে মাথায়। যা একজন ব্যক্তির পক্ষে নিরাময় করা সম্ভব নয়। তবে বন্ধু কিংবা পরিবারের কোনো সদস্য এগিয়ে আসলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। তবে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর মানসিক যেসব প্রভাব পড়ে, তা কাটিয়ে উঠা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
শোকের জন্য নিজেকে সময় দেয়া: সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পর কিছুটা মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। এ সময় নানা আবেগ কাজ করে। যেসব কেবলেই আবেগ, তা বোঝার চেষ্টা করুন। অল্পতেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারবেন এভাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সবকিছু উপস্থাপন সীমিত করা: অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়া হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। যেখানে আমারা অতীতের ভালো ও খারাপ দুই সময়ের স্মৃতিই দেখতে পাই। কিন্তু কিছু সময় এসব আমাদের কঠিন বাস্তবতার সময় খারাপ সময়ের সৃষ্টি করে থাকে। এ জন্য খারাপ সময় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নেয়া উচিত। আবার নিজের মন খারাপের বিষয়ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সমর্থনকারীদের সঙ্গে মেশা: দুঃসময়ে যারা আপনার সঙ্গে থাকে, বিভিন্নভাবে সহায়তা করে, সম্পর্কে বিচ্ছেদের পর সেসব মানুষের ওপর নির্ভর করা ভালো। এ সময় নিজেকে বুঝতে পারা মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করা অনেকটাই মানসিক যন্ত্রণা রোধে সহায়তা করে। পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবের মধ্যে যারা আপনার আবেগ বুঝতে পারে, তাদের সঙ্গে থাকুন।
নিজের ভালোকে গুরুত্ব দেয়া: সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই নিজের ভালো বিষয় নিয়ে ভাবনার বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে এটি আপনার ক্ষেত্রে খুব সহায়ক। এ সময় নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া, নিয়মিত ঘুমানো প্রয়োজন। তা না হলে মানসিক, শারীরিক সবদিকেই ক্রমশ ক্ষতি হতে থাকবে আপনার।
নেতিবাচক ভাবনা বাদ দেয়া: নানা কারণে বিভিন্ন নেতিবাচক ভাবনা মনে হতে পারে। সেসবকে কখনো গুরুত্ব দেয়া যাবে না। বরং নিজের আত্মমূল্য পুনর্গঠনে নেতিবাচক সব ফেলে দিন। তাতে মানসিক স্বাস্থ্য অধিকতর ভালো হবে। নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করুন এবং নিজের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। যা আপনার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সহায়তা করবে।
পেশাদারদের সহায়তা নেয়া: প্রয়োজনে পেশাদার ব্যক্তিদের সহায়তা নিতে পারেন। বিভিন্ন সেন্টার ও সংস্থায় কাউন্সিলিংও করানো হয়। এতে আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শান্তি কুঁজে পাওয়া যায়।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]