
টানা দুদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান। জবানবন্দিতে তুলে ধরেন আওয়ামী দুঃশাসনের পটভূমি। বর্ণনা দিয়েছেন জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ গত ১৬ বছরের গুম-খুনেরও। তবে জেরায় তার এসব বক্তব্য অসঙ্গত দাবি করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। এমনকি শেখ হাসিনার শাসনামলে কোনো চরম দুর্নীতি কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দ্বিতীয় দিনের মতো মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেন আমির হোসেন। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এই ইতিহাসবিদ।
জেরার একপর্যায়ে সাক্ষীর বক্তব্য অস্বীকার করে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলকে ১৫ বছরের ‘চরম দুর্নীতি পরায়ণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ শাসন’ হিসেবে চিত্রিত করার কোনো ভিত্তি নেই। তার মতে, এ ধরনের মন্তব্য শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কেননা বাংলাদেশ কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা ও কামাল। এ কারণে তারা সবাই কমান্ড রেসপনসেবলিটির আওতাভুক্ত নয়। অর্থাৎ এ মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো অন্যায় সংঘটিত হয়নি। ফলে ‘কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর।
এ সময় জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি বলে যুক্তি দেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী। তাই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে নির্দেশ দেওয়া কিংবা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। অর্থাৎ যেহেতু কোনো প্রকার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি, সেহেতু হত্যাকাণ্ড বন্ধের নির্দেশ প্রদান বা উদ্যোগ গ্রহণ অবান্তর। এছাড়া গত ১৬ বছরে কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়নি বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]