
মাদক জব্দ করার পর পুলিশ ও প্রশাসন প্রমাণ হিসেবে সেগুলো মজুত করে রাখে। বিচার চলাকালে জব্দ করা মাদক আদালতে উপস্থাপন করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টন পুলিশ ও নগর কর্মকর্তারাও একইভাবে কাজ করেন।
কিন্তু সম্প্রতি নিজেদের জব্দ করে রাখা মাদকের লকার খুলে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। পুরো লকার তছনছ হয়ে আছে, যেন সেখানে তাণ্ডব চলেছে। পুলিশের দাবি, এ কাজ কোনো মানুষ করেনি, করেছে ইঁদুর। একদল ‘মাদকাসক্ত ইঁদুর’ তাদের লকারে তাণ্ডব চালিয়েছে, মাদক খেয়েছে এবং লকারে মজুত অন্য প্রমাণাদিও ধ্বংস করেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে হিউস্টন নগরের মেয়র জন উইটমায়ার বলেন, প্রমাণ হিসেবে লকারে যেসব মাদক মজুত রাখা হয়েছিল, সেগুলো ইঁদুরকে আকৃষ্ট করেছে। ওই সব মাদক খেতে গিয়ে ইঁদুরগুলো অন্যান্য প্রমাণও নষ্ট করেছে।
হুইটমায়ার আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে চার লাখ পাউন্ড গাঁজা মজুত আছে, যা কেবল ইঁদুরেরাই উপভোগ করছে।’
ইঁদুরের উৎপাত কমাতে একটি উদ্যোগ শুরু করার ঘোষণাও দিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেছেন, হ্যারিস কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি কার্যালয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে নগর প্রশাসনে মজুত প্রায় ১২ লাখ প্রমাণ গুছিয়ে রাখবেন এবং ২০১৫ সালের আগে প্রমাণ হিসেবে মজুত করা সব মাদক নষ্ট করে ফেলবেন।
মেয়র বলেন, এত বেশি প্রমাণ সংরক্ষণ ও মজুত করে রাখা আছে যে সেগুলোর আর প্রয়োজন পড়ে না। অভিযোগের নিষ্পত্তি, দোষী সাব্যস্ত করতে বা এমনকি নির্দোষ প্রমাণ করতেও সেগুলো কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না।
মেয়রের সঙ্গে একই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হিউস্টন ফরেনসিক সায়েন্স সেন্টারের প্রধান পিটার স্টুট। তিনি বলেন, প্রমাণ হিসেবে অনেক বেশি মাদক মজুত করা অন্যান্য এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, এমন প্রমাণকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।
পিটার স্টুট আরও বলেন, ‘সেগুলো খাওয়া যায়, খেতেও ভালো, সেখানে সব ধরনের জিনিসপত্র থাকে। আপনি অনেক বেশি মাদক মজুত রাখবেন আর আশা করবেন যে এমন কিছু ঘটবে না, সেটা হবে না।’
তথ্যসূত্র: ইউপিআই
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]