
দক্ষিণ আফ্রিকার পরিত্যক্ত স্বর্ণের খনিতে আটকে পড়ে শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে খনিশ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংস্থা মাইনিং অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিস ইউনাইটেড ইন অ্যাকশন (ম্যাকুয়া)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সংস্থাটির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত স্বর্ণের খনি থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অনেক লোক এখনও আটকা রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
খনিজ মন্ত্রণালয় ও পুলিশ জানায়, খাঁচার মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৬ জন জীবিত খনিশ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
শ্রমিকরা ওই খনিতে অবৈধভাবে খনন কাজ চালাচ্ছিলেন। তাদের খাদ্য, পানি ও অন্যান্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে তাদের জোর করে বের করার উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে দীর্ঘ অচলাবস্থা শুরু হয়।
হাজারেরও বেশি খনিশ্রমিক গত কয়েকমাস ধরে সেখানে বাস করছিলেন। সেখানে এখনও অনেক শ্রমিক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যমে পরিত্যক্ত খনির ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মরদেহগুলোকে অস্থায়ী ব্যাগে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে ও অন্যটিতে দুর্বল অবস্থায় কয়েকজন জীবিত খনিশ্রমিককে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে একজন জানান, ক্ষুধার কারণে এসব খনি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৯৬ জন হতে পারে।
ম্যাকুয়া গোষ্ঠীর মুখপাত্র সাবেলো মনগুনি জানান, শুক্রবার উদ্ধার পাওয়া কিছু শ্রমিকের সঙ্গে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে, তাতে একটি ভিডিওতে খনির ভেতরে প্লাস্টিকে মুড়ে রাখা বহু মরদেহ দেখা গেছে।
তিনি আরও জানান, উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর স্টিলফন্টাইনের ওই খনিতে কমপক্ষে ১০০ জন মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, অনাহারে অথবা পানিশূন্যতায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে শ্রমিকরা বের হয়ে আসতে চায়নি। কিন্তু মনগুনি জানান, পুলিশ খনি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য শ্রমিকদের ব্যবহৃত দড়িগুলি সরিয়ে ফেলার পরে তারা খনির ভূগর্ভে আটকা পড়েন।
পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার সাবাতা মুখওয়াবইনা জানান, সোমবার থেকে নতুন করে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কতগুলো মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং কতজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি
বিবার্তা/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]