
আনন্দের মধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করা- নিজের মেধাকে নিজের চোখের সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে শিশুদের সাহায্য করতে হবে বলে জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শিশু-কিশোররা শুধু গাইতে পারে, নাচতে পারে, বাজনা বাজাতে পারে- এটা খুবই ভালো জিনিস। এটা প্রতিযোগিতা হওয়া অবশ্যই উচিত। এর বাইরে অনেক কিছু করা যায়, সেখানে প্রতিযোগিতা হবে না কেন? শুধু একটা বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে কেন? তারা ফুর্তিতে যাবে, এটা কারণ জোরজবরদস্তির কিছু নয়। আনন্দের মধ্যে নিজেকে আবিষ্কার করা- নিজের মেধাকে নিজের চোখের সামনে নিয়ে আসা। কাজেই আশা করি, এগুলো বিভিন্নভাবে আমরা রচনা করতে পারব। ক্রমে ক্রমে একদিনে সব হবে না। বৃহত্তর পরিমণ্ডলে সার্বিকভাবে যেন কোনো শিশু বাদ না পড়ে। প্রত্যেকেরই একটা না একটা প্রতিভা আছে। শুধু একটি জিনিস দিয়ে যদি মাপি, অনেকে বাদ পড়ে যাবে। কিন্তু সব রকম মাপকাঠি দিয়ে মাপলে দেখা যাবে- কেউ এখানে, কেউ সেখানে উপরে উঠে গেছে। সবাই মনে করবে, আমি তো পারছি।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যারা আজ বিজয়ী হয়েছে, তারা সর্বস্তরে আসতে পেরেছে- তাদের জন্য জোরে একটা হাততালি দিচ্ছি। তারা প্রতি স্তর পেরিয়ে এসেছে, এটা একটা বিরাট ঘটনা। এই শিশুর জীবনে, কিশোরের জীবনে এটা তাকে আরও উৎসাহিত করবে- পরের বারও যেন ভালো করতে পারে। সেই উৎসাহ ধরে রেখে তারা নিজেকে নিজে আবিষ্কার করবে। এই পুরো বিষয়টাই হলো নিজেকে আবিষ্কার করা। এই প্রতিযোগিতাটা আবিষ্কারের সুযোগ সৃষ্টি করে দিলো।
তিনি বলেন, আমি কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই- এটা রচনা প্রতিযোগিতা হতে পারে। উদ্ভাবনী বিষয় হতে পারে, প্রযুক্তির প্রতিযোগিতা হতে পারে। এই বয়সে কে কী প্রযুক্তি প্রয়োগ করছে এবং সেটা দিয়ে নতুন একটা চমক দিচ্ছে, সেই প্রযুক্তিকে বুঝতে পারছে এবং প্রয়োগ করছে- তার জন্যও প্রতিযোগিতা হতে পারে। তখন স্কুলে বিভিন্ন জায়গায় প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা আসবে। আমরা সব দিক থেকে আনতে চাই, শুধু একদিকে সীমাবদ্ধ না রেখে। এর মধ্যে খেলাধুলাকেও আনব না কেন? এই বয়সের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার একটি সিরিজ চলুক। এই খেলাধুলা থেকে সেরা হচ্ছে কে, কে উদ্যোক্তা হতে পারে- নতুন কোনো ব্যবসা, সামাজিক ব্যবসা বা অন্য যেকোনো ব্যবসার প্রতিযোগিতা হতে পারে।
তিনি বলেন, মেয়ে-ছেলেদের জন্য হতে পারে ফ্যাশন ডিজাইন প্রতিযোগিতা। আমি ফ্যাশন পছন্দ করি, এটা করেও প্রতিযোগিতা হতে পারে। খাবার তৈরির প্রতিযোগিতা হোক- ছেলেরা হোক, মেয়েরা হোক, যে যেমন পারে। বহু রকমের বিষয় আছে। এরাও উপভোগ করবে। আমি ভালো গায়ক না হতে পারি, কিন্তু ভালো বিজ্ঞানী হতে পারি। ভালো ব্যবসায়ী হতে পারি। আমার মধ্যে যা আছে, আমি তার খোঁজ পাই। না পেলে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টাও করি। আমরা সেই খোঁজ পাওয়ার চেষ্টাটা সামনে নিয়ে আসাই আমাদের কাজ।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]