
জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু নিশ্চিত হতে ‘এনএস-ওয়ান’ পরীক্ষা করানোর অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
৫ অক্টোবর, রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।
রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে ৯ জন মারা গেছেন; হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৪২ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে এক দিনে মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ যে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৭ জন হাসপাতালে ভর্তির প্রথম দিন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, মূলত হাসপাতালে আসতে দেরি হওয়ার কারণে ডেঙ্গু রোগ জটিল আকার ধারণ করে। এ কারণে তাদের চিকিৎসা দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিল না।
“বাকি ২ জনের ১ জন ভর্তির পর দিন মারা যান। দেরিতে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে উপস্থিত হওয়ার কারণে জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো এবং ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ অত্যন্ত সতর্ক ও তৎপর। সব হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট, স্যালাইন ও ওষুধ মজুত রয়েছে। মৃত্যু কমাতে হলে একইসঙ্গে দ্রুত ডেঙ্গু শনাক্ত করা, গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া এবং মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২৪ জনের ‘ডেথ রিভিউ’ করে দেখা গেছে, তাদের বেশির ভাগ হাসপাতালে এসেছেন দেরি করে।
সেদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো.হালিমুর রশিদ বলেন, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের ১২৪ জনের ‘ডেথ রিভিউ’ (তথ্য পর্যালোচনা) করেছে অধিদপ্তর।
সেই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন, তাদের বেশির ভাগই ৩ থেকে ৬ দিন জ্বরে ভোগার পর হাসপাতালে এসেছিলেন।
“১২৪ জনের মধ্যে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ জন, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৫ জন এবং ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে ভর্তির ৭২ ঘণ্টা পর।”
এ বছর রোববার পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯০৭ জন; মৃত্যু হয়েছে ২১২ জনের।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]