
বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ১২ জন গবেষক। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডসভিত্তিক প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার যৌথভাবে এ তালিকা প্রকাশ করে।
তালিকায় থাকা বাকৃবির গবেষকদের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন শিক্ষক ও ১ জন শিক্ষার্থী। বিজ্ঞানীদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন এবং গবেষণার ধারাবাহিকতা ইত্যাদি সূচকের ভিত্তিতে এ তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
গত শনিবার প্রকাশিত এ তালিকায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২৮৬ জন গবেষক জায়গা করে নিয়েছেন।
বাকৃবির গবেষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর। দ্বিতীয় স্থানে কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আক্তারুজ্জামান খান এবং তৃতীয় স্থানে কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল মজিদ।
এছাড়াও তালিকায় রয়েছেন প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রান বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তাহজিব-উল-আরিফ, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম গোলাম দস্তগীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মো সাইফুল ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো তানভীর রহমান, একোয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো ফজলে রোহানী, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো শাহজাহান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রান বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আব্দুল হান্নান, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম লুৎফুল কবির, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এমন স্বীকৃতি পেয়ে অনুভূতি প্রকাশে কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর বলেন, নিজের দীর্ঘদিনের গবেষণাপ্রচেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই আনন্দের ও গর্বের বিষয়। সর্বপ্রথম আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। এ অর্জন আমার একার নয় আমার সহকর্মী, শিক্ষার্থী এবং গবেষণার প্রতিটি ধাপে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। এই স্বীকৃতি কেবল আমাকে নয়, বরং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে আরও উদ্যমী করে তুলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শিক্ষার্থী ও তরুণ গবেষকদের অনুপ্রাণিত করবে নতুন গবেষণা, উদ্ভাবন ও জ্ঞানচর্চায় আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতে।তারা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক জ্ঞানচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]