
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক ঘটনায় বহিস্কৃত নারী শিক্ষার্থীদের পাঁচজন ছয় দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
১৬ই ফেব্রুয়ারি (রোববার) বিকেল চারটায় নগরীর ষোলশহর স্টেশনে এ সংবাদ সম্মেলনে করেন তারা।
বহিস্কৃতদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রওজাতুল জান্নাত, সুমাইয়া শিকদার, উম্মে হাবিবা বৃষ্টি, মাইসারা জাহান ইশা ও জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুমাইয়া শিকদার।
সম্মেলনে জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা বলেন,'সেদিন চার পাক্ষিক একটা ঘটনা ঘটেছে। কিন্ত রাতের বেলা মেয়েদের হলের সামনে ভাংচুর করার প্রতিবাদ জানানো মেয়েদেরকেই শুধু শাস্তির আওতায় আনা হলো। অথচ যারা ভাংচুর করেছিল, যে শিক্ষার্থী হলের গেটে তালা দিলো তাকে কোনো শাস্তি দেওয়া হলো না।'
জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা আরও বলেন, সেদিন ভাঙচুর শুরু হওয়ার সময় আমরা বার বার প্রক্টরকে ফোন করছিলাম। কিন্ত তিনি আমাদেরকে বলেন আমাদের ফোন কলে আসতে তিনি বাধ্য নন, প্রভোস্টের মাধ্যমে জানাতে হবে। যেই প্রক্টরিয়াল বডি আমাদেরকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি তারাই আমাদের এসে তুই তোকারি করে অশোভন আচরণ করেন, 'হাসিনার দোসর' সহ বিভিন্ন অশ্রাব্য মন্তব্য করেন। এছাড়াও প্রধান প্রক্টর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেয়েদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।
লিখিত বক্তব্যে ঘটনার বর্ণনা সুমাইয়া শিকদার ছয় দফা দাবি পেশ করেন। তিনি বলেন, আমরা এখনও কোনো বহিষ্কারাদেশ পাইনি। অথচ চবিসাসের অনলাইন পেইজে আমাদের নাম প্রকাশসহ ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ সত্য কিনা আমরা তাও জানিনা। সত্য হলে আমরা তিন কার্য দিবসের মধ্যে এর প্রত্যাহার সহ ছয় দফা দাবি জানাচ্ছি। দাবি না মানা হলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
শিক্ষার্থীদের ছয় দাবি হলো: ১) অন্যায়ভাবে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ তিনদিনের মধ্যেই প্রত্যাহার করতে হবে। এবং এই বহিষ্কারাদেশের সাথে জড়িত প্রক্টরিয়াল বডি অপসারণের আগে আর কোনো বিচার প্রক্রিয়া চালানো যাবে না। ২) হামলাকারী ছাত্রদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৩) সাংবাদিকতার নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করে মেয়েদের অনুমতি ছাড়া ভিডিও ধারণকারী এবং উগ্র আশোভন নারী বিদ্বেষী আচরণকারী তথাকথিত সাংবাদিকদের (সব সাংবাদিকদের নয়) শান্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ৪) আক্রমণ ও ভাঙচুরকারী ছাত্রদের হামলায় বাধা দিতে ব্যর্থ প্রক্টরিয়াল বডির ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। ৫) এই ঘটনা কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীদের নিয়ে অবমাননাকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার কারণে প্রধান প্রক্টর তানভির মোহাম্মদ হায়দার আরিফ স্যারকে ভুল স্বীকার করে পদত্যাগ করতে হবে।
৬) যতগুলো স্থাপনা/হল এখনো ফ্যাসিস্টের নামে পরিচিত আছে তা অতি শীঘ্রই পরিবর্তন করা। যাতে পরবর্তীতে এসব ইস্যু কেন্দ্র করে আর কোনো ঝামেলা না হয়। ফ্যাসিস্টের নাম নিশানা এবং এই সংক্রান্ত ট্যাগিং কোনোটাই আমরা এই ক্যাম্পাসে আর দেখতে চাই না।
বিবার্তা/মহসিন/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]