
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) রোটার্যাক্ট ক্লাব অফ এগ্রি ভার্সিটির উদ্যোগে শুরু হয়েছে ৩৪তম রোটার্যাক্ট ট্রেনিং ক্যাম্প। প্রতি বছরের মতো এবারও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন, নেতৃত্বগুণ বিকাশ ও সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে এই কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
ছয় দিনব্যাপী এ কর্মশালায় সারা দেশ থেকে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৬৪-এর অন্তর্ভুক্ত ৩৪ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এবারের প্রতিপাদ্য— "প্রজন্মের সেতুবন্ধন, আগামীর নির্মাণ।" এই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি বাকৃবির জিটিআই প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিটিআই-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব ময়মনসিংহের রোটার্যাক্ট কমিটির চেয়ারম্যান রোটারিয়ান এ এইচ এম খালেকুজ্জামান এবং রোটারি ক্লাব ময়মনসিংহের সভাপতি রোটারিয়ান অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ লিটনসহ অন্যান্য রোটারিয়ান সদস্যরা।
রোটার্যাক্ট ক্লাবের সভাপতি রোটার্যাক্টর আফরিনা রওশন বলেন, রোটারিয়ান সদস্যরা শুধু আত্ম-উন্নয়নের কাজ করছেন না, বরং দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা তাদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও সহায়ক হবে।
অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মানসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েট তৈরির জন্য শিক্ষার্থীদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিকল্প নেই। এর মধ্যে রোটার্যাক্ট ক্লাব অন্যতম। এটি ধূমপানমুক্ত, অরাজনৈতিক এবং সেবামূলক একটি সংগঠন। যেখানে নেতৃত্ব, ব্যবস্থাপনা ও যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়নসহ নানান বিষয় হাতে-কলমে শেখানো হয়। জুলাই আন্দোলনে এই সংগঠনের সদস্যদের ভূমিকা ছিল অভূতপূর্ব। এছাড়াও, মানবসেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, এই প্রশিক্ষণে যারা অংশ নিচ্ছেন, তারা বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রতিটি শিক্ষক থেকে ছোট ছোট জ্ঞান আহরণ করে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। নিজের দুর্বলতা ও দক্ষতাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। প্রত্যেকের মধ্যেই সৃজনশীলতা রয়েছে, কিন্তু আমরা অনেক সময় নিজেদের ক্ষমতা বুঝতে পারি না। এই গুলো খোঁজে বের করতে হবে। পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।
বিবার্তা/আমান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]