
ঢাকায় অবস্থিত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি দুই কর্মকর্তাকে বাংলাদেশি পর্যটক ও শ্রমিক ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ নেওয়ার সন্দেহে করেছে মালয়েশিয়া দূর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)।
তাদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা রয়েছেন। সম্প্রতি দুজনকে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) পর্যন্ত তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। খবর দ্যা স্টার।
এমএসিসি প্রধান কমিশনার আজম বাকী দুই কর্মকর্তাকে রিমান্ডে রাখা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এমএসিসি আইনের ১৭(এ) ধারা এবং অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং, অ্যান্টি-টেরোরিজম ফাইন্যান্সিং এর ধারা ৪(১) এর অধীনে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রতিবেদন করেছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে পুলিশ এ সময় গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তাদের ছবি ও নাম ঠিকানা প্রকাশ করেনি।
সূত্রে জানা গেছে, কলিং ভিসা ও ট্যুরিস্ট ভিসায় সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত সন্দেহে মালয়েশিয়ান ওই দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির দূর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি/এসপিআরএম)। এ সময় গ্রেফতার দুই কর্মকর্তা থেকে ২০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ মালয়েশিয়ান রিংগিতে প্রায় তিন মিলিয়নের বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এসবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কলিং ভিসায় সিন্ডিকেটে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ করছে এসপিআরএম।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে কলিং ভিসায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতি এবং ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে কাজ করা, অতিরিক্ত টাকা আদায় করাসহ নানা দূর্নীতির বিরুদ্ধে এমএসিসি ও এসপিআরএম তদন্ত করতে গিয়ে অনিয়মের সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসায় কর্মী নিয়োগে সিন্ডিকেটের কারণে জনপ্রতি সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে অনেক আগেই অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বছর এসপিআরএম-এর হাতে কয়েকজন মাস্টার মাইন্ডকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পরে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত জানা যায়নি।
বিবার্তা/আরিফ/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]