
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত রমজান মিয়া জীবন (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছেন।
৯ অক্টোবর, বুধবার বিকাল ৩ টার দিকে মারা যান তিনি। বংশালের আলু বাজার এলাকায় একটি স্যান্ডেল তৈরি কারখানার শ্রমিক ছিলেন রমজান।
মৃতের চাচা মোহাম্মদ রোমান মিয়া জানান, রমজান কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার দিলালপুর ইউনিয়ন এর পাঠান হাটি গ্রামের মোহাম্মদ জামাল মিয়ার ছেলে। মিরপুরের লালমাটি এলাকায় থাকতেন তিনি। তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন রমজান। তার স্ত্রী সাহারা খাতুন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
তিনি আরও বলেন, রমজান বিএনপি কর্মি ছিলো। আলুবাজার এলাকায় কাজ করতো স্যান্ডেল তৈরির কারখানায়। গত ৫ আগষ্ট মিরপুরের বাসায় যাওয়ার কথা বলে সকালে সেখান থেকে বের হয়। পরে গুলিস্তান আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের আশপাশের এলাকায় বেলা আনুমানিক ১১টার দিকে আহত হয় সে। এরপর লোকজন তাকে রিকশা দিয়ে ঢামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এদিকে তার মা আমেনা খাতুন গত ৫ আগস্ট রাস্তায় গণ্ডগোলের সংবাদ শুনে ছেলে জীবন এর মুঠোফোনে ফোন করে বলেন, ‘তুই কোথায় আসিস’? জবাবে মুঠোফোনে অন্য এক ছেলের কথা শুনতে পান তিনি। সে ফোন রিসিভ করে বলছে, আপনি যাকে ফোন করেছেন, সে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে।
চাচা মোহাম্মদ রোমান বলেন, আমরা সংবাদ শুনে ঢামেক হাসপাতালে এসে তাকে শতাধিক আহতদের মাঝে বিকেলের দিকে খুঁজে পাই। শুনেছি তার মাথায় গুলি লেগেছে। তার মাথায় গুরুতর জখম ছিল। তার জ্ঞান ছিল না। এরপর আর তার জ্ঞান ফেরেনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে সবশেষ (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
চাচা আরো বলেন, সে বাসার কথা বলে মাঝে মধ্যে কারখানা থেকে বের হতো ঠিক, কিন্তু বাসায় না গিয়ে গোপনে বিএনপির প্রোগ্রামে যেতো।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, তার মাথায় গুরুতর জখম ছিল। তার মৃত্যুর সনদে লিখা হয়েছে ফিজিক্যাল এস্যাল্ড।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
বিবার্তা/বুলবুল/এনএইচ/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]