
ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯ টি গেট খুলে দেওয়া হলেও রাজবাড়ী অঞ্চলে পদ্মা নদীর পানি বিপদ বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পওর বিভাগ) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, গত ১৫ ঘণ্টায় পাংশার সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্ট ও সদরের মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বাড়েনি। তবে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে পানি ৮ সেন্টিমিটার কমেছে।
জেলার সেনগ্রাম গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার। সেখনে পানি ৯ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। মহেন্দ্রপুর গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমার ৯ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। সেখনে পানি ৮ দশমিক ১১ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। আর দৌলতদিয়া গেজস্টেশন পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। সেখনে পানি ৬ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ জেলার তিনটি গেজস্টেশন পয়েন্টেই পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মো. হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের পানি রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে আসতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগতে পারে। তবে পানি খুব বেশি বাড়ার আশঙ্কা নেই।
পানি বাড়লে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, খানগঞ্জ, কালুখালীর রতনদিয়া, হরিণবাড়িয়া, পাংশার বাহাদুরপুর, হাবাসপুর ও গোয়ালন্দের দেবগ্রাম এবং দৌলতদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে পারে। তবে পানি রাজবাড়ী শহর রক্ষার বেড়িবাঁধ পাড় হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ পানি বেড়িবাঁধ পাড় হতে গেলে নদীতে অন্তত ১৭ ফিট পানি বাড়তে হবে। এতো পরিমাণ পানি বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তাই জেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন পাউবোর ওই কর্মকর্তা।
বিবার্তা/মিঠুন/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]